নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার একটি প্রধান উৎসব, দুর্গাপুজো, ঐশ্বর্যের সাথে পালন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মিষ্টিগুলি কেবল মিষ্টান্ন নয়; এগুলির সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে। পরিবার এবং বন্ধুরা সদিচ্ছা এবং উৎসবের প্রতীক হিসেবে এগুলি আদান-প্রদান করে।
জনপ্রিয় কিছু মিষ্টির মধ্যে রয়েছে সন্দেশ, রসগোল্লা এবং মিষ্টি দই। সন্দেশ তাজা ছানা এবং চিনি দিয়ে তৈরি হয়। রসগোল্লা, আরেকটি প্রিয় মিষ্টির মধ্যে অন্যতম। রসের মধ্যে থাকা ছানার এই মিষ্টি মুখে পড়লেই উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ করে দেয়। মিষ্টি দই হল আরও এক মিষ্টান্ন, যা বাঙ্গালিকে পরিপূর্ণ করে তোলে।
মিষ্টিগুলি দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এগুলি দেবী দুর্গাকে প্রসাদ হিসেবে অর্পণ করা হয়। এই অর্পণ ভক্তি ও কৃতজ্ঞতার প্রতীক। এই মিষ্টি তৈরিতে প্রায়শই পরিবারের সদস্যরা একসাথে জড়ো হন, বন্ধন আরও দৃঢ় করেন।
উৎসবের সময় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির চাহিদা স্থানীয় ব্যবসাগুলিকে উৎসাহিত করে। মিষ্টি দোকানগুলিতে বিক্রয় বৃদ্ধি পায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। এই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলিকে সমর্থন করে এবং অঞ্চলের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। মূলত, দুর্গাপূজার সময় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টিগুলি কেবল মিষ্টি নয়, এগুলি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক, সম্প্রদায়ের বন্ধনকে শক্তিশালী করে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে।