নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্গা পূজা, একটি প্রধান হিন্দু উৎসব, সারা ভারত জুড়ে ঐশ্বর্যের সাথে উদযাপিত হয়। এই সময় প্রতিটি অঞ্চল তার অনন্য রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্য প্রদর্শন করে। দেবী দুর্গার প্রতি উৎসর্গীকৃত এই উৎসবে বিভিন্ন খাবারের প্রসাদ দেখা যায় যা স্থানীয় স্বাদ এবং রীতিনীতি প্রতিফলিত করে।
বাংলার খাবার
পশ্চিমবঙ্গে, দুর্গা পূজা বিস্তৃত ভোজের সাথে সমার্থক। 'ভোগ' এর মতো ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলিতে খিচুড়ি, লাবড়া এবং পায়েস রয়েছে। এগুলো মণ্ডপ এবং ঘরে ঘরে পরিবেশন করা হয়। সন্দেশ এবং রসগোল্লা এর মতো মিষ্টি খাবারও উৎসবের সময় জনপ্রিয়।
বিহারের খাবার
বিহার ও ঝাড়খণ্ডে উভয়ই উদ্ভিদভিত্তিক এবং মাংসভিত্তিক খাবারের সমন্বয়ে উদযাপিত হয়। লিট্টি চোখা একটি স্টেপল ডিশ, প্রায়শই মাংসের করির সাথে পরিবেশিত হয়। ঠেকুয়া এর মতো মিষ্টি খাবার উৎসবে মধুরতা যোগ করে।
ওড়িশার খাবার
ওড়িশায় উৎসবে দালমা এবং পখালা ভাত এর মতো খাবার থাকে। ছানা পোড়া এর মতো মিষ্টির খাবার দিয়ে এগুলোর পরিপূরক। স্থানীয় উপাদানগুলোর উপর জোর দেওয়া সহজ কিন্তু সুস্বাদু খাবারের উপর জোর দেওয়া হয় এখানে।
অসমের খাবার
অসমীয়া উদযাপনে পোঁইতা ভাত এবং মাছের করির মতো ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে। পিঠা, এক ধরণের চালের কেক, এই সময়েও উপভোগ করা হয়। এটি তাজা ফসল এবং সুগন্ধি মশলার উপর জোর দেয়।
উত্তর ভারতের খাবার
উত্তর ভারতে দুর্গা পূজার সময় বিভিন্ন ধরণের খাবার পাওয়া যায়। দিল্লী এবং উত্তরপ্রদেশে, ছোলে ভাটুরা এবং আলু পুরি অসাধারণ। জলেবি এর মতো মিষ্টির খাবার উৎসবের আবেগ বাড়িয়ে তোলে।
দক্ষিণ ভারতের খাবার
দক্ষিণ ভারতে, নারকেল ভিত্তিক খাবারের প্রসাদ দিয়ে উৎসব উদযাপিত হয়। কেরালা এবং তামিলনাড়ুতে পায়সাম একটি জনপ্রিয় মিষ্টির খাবার। স্থানীয় ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে উদ্ভিদভিত্তিক খাবারের উপর জোর দেওয়া হয়।
দুর্গা পূজার খাবারের বিচিত্রতা ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। প্রতিটি অঞ্চল তার নিজস্ব স্বাদ আনে, যা উৎসবকে রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্যের সত্যিকারের উৎসব করে তোলে।