নিজস্ব সংবাদদাতা: রোগীকে দেখে, বা তাঁর কী কী সমস্যা, তা শুনে রোগী কোন রোগে আক্রান্ত বলে দিতে পারতেন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। তাঁর চিকিৎসার এমন অনেক ঘটনা বিধান চন্দ্র রায়ের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।
একদিন এক ভদ্রলোক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের কাছে এসে হাতেপায়ে ধরে তাঁর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। কারণ তাঁর ছেলের টিবি হয়েছে। তখন টিবি চিকিৎসাতে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের ভারতজোড়া নামডাক ছিল। তিনি যখন রোগীর বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন, তখন শুনতে পান একটি বাচ্চা ছেলের কাশির শব্দ।
কাশির শব্দ শুনে তিনি সিঁড়িতেই দাঁড়িয়ে পড়েন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। কিছুক্ষণ পর তিনি সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে শুরু করেন। ছেলেটির বাবা তো অবাক। তাঁকে দেখে বিধান চন্দ্র রায় বললেন, তাঁর ছেলেকে দেখে কোনও লাভ নেই। এই কথা শুনে চুপ করে যান ওই ভদ্রলোক। তাঁর দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বিধান চন্দ্র রায় জানান, তাঁর ছেলে যে গরুর দুধ খায়, সম্ভবত সেই গরুর টিবি আছে। ছেলেটির কাশি ঠান্ডা লাগার কারণে হচ্ছে। এরপর ওষুধ লিখে দেন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। সেই ওষুধ খাওয়ানোর পর তিন দিনের মাথায় ছেলেটি সুস্থ হয়ে ওঠে।