নিজস্ব সংবাদদাতা: জুলাই মাসের প্রথম দিন, ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যার ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে গেল তাঁর নাম? ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় যখন তাঁর কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত, তখন স্বাধীনতা লাভের জন্য আন্দোলন চলছে দেশ জুড়ে। ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ১৯২৫ সালে শুরু হয় ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের রাজনৈতিক কর্মজীবন। ১৯৩১ সালে কলকাতার মেয়র হিসাবে নিযুক্ত হন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। তাঁর আগে ওই পদে ছিলেন সুভাষ চন্দ্র বসু। এরপর তাঁর পরিচয় হয় মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে। ১৯৩০ সালে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন তিনি।
ধীরে ধীরে মহাত্মা গান্ধীর ভাল বন্ধু হয়ে ওঠেন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। তিনি মহাত্মা গান্ধীর চিকিৎসাও করতেন। ১৯৩৩ সালের মে মাসে পুনের পার্ণকুটিভিনে ২১ দিন ধরে অনশন করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তখন মহাত্মা গান্ধীর পাশে থেকে তাঁর চিকিৎসা চালিয়ে যান ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। পরবর্তিকালে তিনি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবেও উন্নীত হন।
ভারত সরকারের প্রাক্তন সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার তাঁর সম্পর্কে লিখেছেন যে, ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় তাঁর চিকিৎসার অনুশীলনকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন এবং পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের আন্দোলনে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তাঁকে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
১৯৬১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতরত্ন পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়কে। এর ঠিক পরের বছর নিজের জন্মদিনের দিন, অর্থাৎ ১ জুলাই ৮০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যায়, যেদিন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় মারা যান, সেদিন সকালে তিনি রোগীদের চিকিৎসা করেছিলেন।