নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসা হোক, কিংবা রাজনীতি, সর্বক্ষেত্রেই ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় নিজের অবদান রেখেছেন। জানা যায়, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের আহ্বানে রাজনীতিতে এসেছিলেন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়। তবে রাজনীতিতে আসার পর তাঁর হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে সমাজ জীবনের বিভিন্ন দিকের উন্নতি হয়েছিল।
১৯৩১ সালে গান্ধীজীর ডাকে আইন অমান্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য কারাবাস হয়েছিল তাঁর। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ থেকে আসা লক্ষাধিক উদ্বাস্তুদের থাকার জন্য গড়ে তোলেন সল্টলেক, লেকটাউন এবং কল্যাণী শহর। তিনি শুধু বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের কথাই ভাবেননি, সেই সঙ্গে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে গড়ে তোলেন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী এবং চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। দার্জিলিংয়ে গড়ে তোলেন দেশের মধ্যে প্রথম পর্বত আরোহন শিক্ষাকেন্দ্র। বঙ্গের এত উন্নতি করার জন্য তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে রূপকারও বলা হয়।
১৯৪৩ থেকে ১৯৪৪, তিনি কলকাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধক্ষ্য ছিলেন। সেই সময় তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় পুরুলিয়া, রহড়া ও নরেন্দ্রপুরে আশ্রমিক পরিবেশে রামকৃষ্ণ মিশন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে। ১৯৬১ সালে তিনি ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হন।
ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে ১৯৬৭ সালে দিল্লিতে ডক্টর বিসি রায় মেমোরিয়াল লাইব্রেরী খোলা হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে প্রত্যেক বছর রাষ্ট্রপতি চিকিৎসক, রাজনীতি, দর্শন ও সাহিত্য বিষয়ে বিত্তজনদের তাঁরই নামাঙ্কিত বিধান চন্দ্র রায় পুরস্কার দিয়ে ভূষিত করে থাকেন। ভারতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর নামানুসারে করা হয়।