নিজস্ব সংবাদদাতা: দোল বা হোলির নাম নিলেই আমরা নিই রাধা-কৃষ্ণের দোল খেলার নাম। আবার পুরাণ অনুসারে হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ বিষ্ণু ভক্ত ছিলেন। প্রহ্লাদকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে গিয়ে তাঁর পিসি হোলিকার মত্যুর কাহিনির সঙ্গেও জড়িয়ে দেওয়া হয় হোলি উৎসবের নাম। তবে বিশ্বের প্রথম দোল রাধা-কৃষ্ণ নয়, খেলেছিলেন স্বয়ং মহাদেব।
পুরাণ অনুসারে একবার তারকাসুর স্বর্গ্য আক্রমণ করে। কৈলাশে তখন ধ্যানে সমাধিস্থ ছিলেন মহাদেবের কাছে তারকাসুরকে বধ করতে সাহায্য চাইতে ছুটে যান দেবতারা। কিন্তু ধ্যানমগ্ন মহাদেবের ধ্যান ভঙ্গ করার সাহস কারুর নেই। তখন প্রেমের দেবতা কামদেব ও তাঁর স্ত্রী রতি শিব শংকরের ধ্যান ভঙ্গ করতে তাঁর সামনে নৃত্যগীত আরম্ভ করলে তাতে বিরক্ত হয়ে মহাদেব চোখ খুললে মহাদেবের তৃতীয় চক্ষুর আগুনে ভষ্ম হয়ে যান মদনদেব। স্বামীকে হারিয়ে রতি কান্নাকাটি করলে শিব কামদেবের প্রাণ ফিরিয়ে দেন। আনন্দে ব্রজমণ্ডলে দেবী দেবীদের জন্য ব্রহ্মা ভোজের আয়োজন করেন এই দম্পতি। রতি সবার কপালে চন্দনের তিলক পরিয়ে দেন। শিব ঢোল বাজিয়েছিলেন আর আবির নিয়েও নাকি খেলেছিলেন।