নিজস্ব সংবাদদাতা: ধনতেরাসের দিনে ভগবান ধন্বন্তরীর পূজা করা বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়। সমুদ্র মন্থনের সময় ভগবান ধন্বন্তরী অমৃত পাত্রের সাথে আবির্ভূত হন, তাই তাকে স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিন একজনের একটি প্রদীপ জ্বালানো উচিত, ফুল দেওয়া উচিত এবং ভগবান ধন্বন্তরীর মূর্তির সামনে "ওম ধন্বন্তরে নমঃ" মন্ত্র জপ করা উচিত। এই প্রতিকারের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি স্বাস্থ্য ও রোগমুক্ত জীবনের আশীর্বাদ পান।
ধনতেরাসের সন্ধ্যায় বাড়ির প্রধান দরজায় প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রদীপ জ্বালালে দেবী লক্ষ্মী প্রবেশ করেন এবং ঘরে ইতিবাচক শক্তি বাস করে। এছাড়াও, এই দিনে বাড়ির প্রতিটি কোণে প্রদীপ জ্বালান, যাতে কোনও জায়গা অন্ধকার না থাকে। এই প্রতিকার সুখ, সমৃদ্ধি এবং শান্তি অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভগবান কুবেরের পূজা করাও খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। কুবের সম্পদের দেবতা এবং তার পূজা আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করে। পূজার সময়, ভগবান কুবেরের মূর্তি বা ছবির সামনে ঘি প্রদীপ জ্বালান এবং তাকে অক্ষত, ফুল এবং মিষ্টি নিবেদন করুন। পূজার শেষে, 108 বার "ওম কুবেরায় নমঃ" মন্ত্রটি জপ করুন। এই সমাধান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যায়।
ধনতেরাসের দিন সোনা, রূপা, বাসনপত্র বা অন্যান্য ধাতব জিনিস কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে কেনা ধাতু দেবী লক্ষ্মীর আগমন এবং সমৃদ্ধির প্রতীক। যদি সম্ভব হয়, একটি রৌপ্য মুদ্রা বা পাত্র কিনুন এবং লক্ষ্মী পূজার সময় এটি অন্তর্ভুক্ত করুন, যাতে সারা বছর আপনার বাড়িতে সম্পদ বৃদ্ধি পায়।
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ধনতেরাসের দিন ঝাড়ু কেনাও শুভ বলে মনে করা হয়। এটি বাড়িতে নবায়ন শুভ আনার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। ঝাড়ুকে লক্ষ্মীর প্রতীক মনে করা হয় এবং এটি ঘরে রাখলে দারিদ্র্য ও নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। মনে রাখবেন কেনা ঝাড়ুটি ধনতেরসের পরের দিন ব্যবহার করা উচিত।