নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্যাংরা কাণ্ডে (Tangra News) ক্রমশ ঘণিভূত হচ্ছে রহস্য। রহস্যের জাল খোলা তো দূরের কথা। উঠে আসছে একের পর এক প্রশ্ন। দেনার দায়েই এত কাণ্ড? নাকি খুনের নেপথ্যে মোটিভ আরও বড় কিছু?
এই মুহূর্তে, গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত পরিবারের তিন সদস্যের রুবি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বড় ভাই প্রণয় দে ও ছোট ভাই প্রসূন দে আপাতত বিপদমুক্ত। হাড়হিম হত্যাকাণ্ডে তদন্তের ভরসা তাঁদের বয়ান। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো, তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞেসাবাদ করা হচ্ছে।
ফাইল চিত্র
দুই ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরেই উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। জানা গিয়েছে, পিলারে ধাক্কা লেগে সব থেকে বেশি জখম হয়েছে প্রণয় দে-র নাবালক পুত্র। শরীরের একাধিক অঙ্গে হাড় ভেঙেছে তাঁর। আরও একটি অস্ত্র প্রচার হতে পারে তাঁর। বয়ানে দুই ভাই জানিয়েছেন, আত্মহত্যার চেষ্টার কিশোরকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সে।
দুই ভাইয়ের পাশাপাশি এই কিশোরের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, নাবালক কিশোরীর বয়ানে একাধিক অসংলগ্নতা রয়েছে। প্রয়োজনে মনোবিদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। শুক্রবার দুই ভাইকে আইসিউ থেকে ছাড়া হতে পারে।
দুই ভাইয়ের বয়ানের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে। আত্মহত্যায় যখন মূল উদ্দেশ্য, এতক্ষণ শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর মানেটা কী? বাড়ির মহিলাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর কোন উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা? এরপর থেকে আত্মহানের চেষ্টা, নাকি অন্য বড় কোনও ষড়যন্ত্র।