জীবিত শিশুকে ডেথ সার্টিফিকেট! প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা
শনিবার ভোরে প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মনলিশা খাতুন নামে রসকুন্ডুর এক গৃহবধূ। দুপুর দুটো নাগাৎ তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বিকেল পাঁচটা নাগাৎ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : সদ্যোজাত শিশুর দেহ কবরস্থ করতে গিয়ে চমকে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা। শিশুটির শরীরে তখনো প্রাণ রয়েছে। জীবিত সদ্যজাতকে মৃত ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে কাঠগড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur) জেলার ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Ghatal Super Speciality Hospital)। সদ্যজাত জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষনা করে ডেথ সার্টিফিকেট পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ। শিশুটির শেষকৃত্য করতে গিয়ে দেখা যায় শিশুটি জীবিত এবং শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে।তড়িঘড়ি সেই শিশুকে পুনঃরায় নিয়ে আসা হয় ঘাটাল হাসপাতেলে। ফের শিশুটিকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক।এমনি নজির বিহীন ঘটনা ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের।এই ঘটনায় চিকিৎসকের নজিরবিহীন শাস্তির দাবি তুলে সরব হয়েছে শিশুটির পরিবার। এমন ঘটনা এরাজ্যে কার্যত নজিরবিহীন। এই ঘটনায় সরকারি চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে চায় শিশুটির পরিবার।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মনলিশা খাতুন নামে রসকুন্ডুর এক গৃহবধূ। দুপুর দুটো নাগাৎ তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিকেল পাঁচটা নাগাৎ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে প্যাকিং করে রাত নটা নাগাৎ শিশুটিকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক।পরে বাড়ি ফিরে শিশুটিকে কবরস্থ করতে গিয়ে সকলেই দেখেন শিশুটি জীবিত, শ্বাস প্রশ্বাস চলছে। তড়িঘড়ি ফের নিয়ে আসা হয় হাসপাতলে। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ।যদিও রবিবার সকালে জানা যায় যে শিশুকে পুনঃরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়। আর এই খবর জানতে পেরে মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে জড়ো হয়। ঘটনায় দেখা দেয় উত্তেজনা। হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে ঘাটাল থানার পুলিশ।