নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে মণিপুরে (Manipur)। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় পদক্ষেপ নিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল টি রনজিত সিং। আজ বৃহস্পতিবার মণিপুরের গভর্নর সমস্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এবং সমস্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট/ স্পেশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন যে হিংসায় উস্কানি দানকারীকে গুলি করে মেরে ফেলতে হবে (Shoot At Sight) ঘটনাস্থলেই ।
রাজ্যে সেনা ও আসাম রাইফেলস মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। মণিপুরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলসের ৫৫টি সেনার দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত ১৪টি সেনার দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে খবর।
মণিপুরে ১৫০০ আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে। বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেন, হিংসা কবলিত এলাকা গুলো থেকে এখনও পর্যন্ত ৯,০০০ মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মনিপুরের (এটিএসইউএম) ডাকা 'ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ'-এর সময় বুধবার চুড়াচাঁদপুর জেলার তোরবুং এলাকায় অ-উপজাতি মেইতিদের তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার দাবিতে মণিপুরের বেশ কয়েকটি জেলায় হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার আন্দোলনকারী এই মিছিলে অংশ নিয়েছিল। এরপর উপজাতি এবং অ-উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।