রণক্ষেত্র কালিয়াগঞ্জ, দিল্লি যাত্রা স্থগিত, ফিরছেন রাজ্যপাল

কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) ঘটনায় এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  জানা গিয়েছে, গতকালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র কাছে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

author-image
SWETA MITRA
New Update
kalia.jpg

 নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) ঘটনায় এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  জানা গিয়েছে, গতকালের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-র কাছে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিল্লিতে তাঁর কর্মসূচি স্থগিত রেখে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল।

গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের একটি খাল থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ উঠেছে, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এদিকে ওই স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের প্রতিবাদে গতকাল কালিয়াগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

'পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার' প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের লোকেরা 'থানা ঘেরাও' কর্মসূচির আয়োজন করে। এদিকে বিক্ষোভ সামাল দিতে পুলিশ কর্মীরা লাঠিচার্জ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। 

 

এরপরেই থানায় ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টিও করা হয়। এর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা। রায়গঞ্জের এই বিক্ষোভ ছিল বিজেপির। শহরের আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও লাঠিচার্জ করে বলে খবর। 


এদিকে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস হিংসায় উস্কানি দেওয়ার জন্য বিজেপিকে দোষারোপ করেছে এবং কিশোরীর স্বাভাবিক মৃত্যুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বলে দাবি করে ক্ষোভ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করেছে। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে যে বিষাক্ত পদার্থের প্রভাবে ওই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের একটি খালে ভাসমান অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও সরগরম হয়ে ওঠে।