আগুনে ভস্মীভূত খড়ের পালুই

দমকলের একটা ইঞ্জিন ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় খানিকক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে সমস্ত খড় ভস্মিভূত হয়ে যায়। আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে পাশেই থাকা একটা বিশালাকার গাছও । তবে ঠিক কী কারনে আগুন লেগেছে সেটা জানা যায়নি।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
khatal

খাটালের খড়ের পালুইয়ে লাগলো বিধ্বংসী আগুন

হরি ঘোষ, লাউদোহা : গরমে পুড়ছে রাজ্য। দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। সকাল ন'টার পর থেকেই রোদের তীব্রতা এতটাই যে, যারা দিন আনা দিন খাওয়া দিনমজুর, যাদের কাজের সূত্রে বাইরে বেরোতে হয় হাঁসফাঁস অবস্থা তাদের। প্রচন্ড দাবদাহে কাজ করতে কাল ঘাম ছুটছে মানুষের । ঠিক এই সময়ে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাধাইপুর এলাকার একটা খাটালের খড়ের পালুইয়ে লাগলো বিধ্বংসী আগুন। খড়ের গাদার সামনেই রাখা ছিল একটা চারচাকা গাড়ি। আগুন লেগেছিল সেটিতেও। তবে তড়িঘড়ি সেখান থেকে গাড়িটি সরানোতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । তবে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে খাটালের গবাদি পশুদের জন্য মজুত রাখা প্রায় ২৫ কাহন খড়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ হাজার টাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাটাল মালিক গোপাল যাদব তার গবাদি পশুদের জন্য খড় মজুত রেখেছিলেন। আগুন নেভাতে খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুরের দমকল বাহিনীকে। দমকলের একটা ইঞ্জিন ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় খানিকক্ষণ পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে সমস্ত খড় ভস্মিভূত হয়ে যায়। আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে পাশেই থাকা একটা বিশালাকার গাছও । তবে ঠিক কী কারনে আগুন লেগেছে সেটা জানা যায়নি। সূর্যের তীব্র তেজ প্রচন্ড গরমের কারণে এই আগুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এলাকায় । বিশ্বজিৎ ঘোষ নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, 'খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বরের এই বিস্তীর্ণ এলাকায় কোন দমকল স্টেশন নেই। তাই আগুন লাগলে দুর্গাপুর থেকে দমকল আসতে একটু দেরি হয়, তাতে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়ে যায়।' তিনি জানান,  পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছে আবেদন করবেন পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় একটা দমকল স্টেশন শুরু করার জন্য।