নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশে চলমান হিন্দু ও ভারতীয় বিরোধিতার এক নতুন উদাহরণ ঘটল ঢাকায়, যেখানে বেলঘরিয়ার এক যুবক কর্মসূত্রে বাংলাদেশে গিয়ে প্রাণে বাঁচতে পারেননি। সেখানে তাকে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হয়, এবং এই ঘটনাটি ফের একবার প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশে ভারতীয় এবং বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বেলঘরিয়ার ওই যুবক ঢাকা শহরে একটি কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে ভারতীয় এবং হিন্দু বলে চিহ্নিত করে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে তার ওপর ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে এবং পরে তার কাছ থেকে ইট-পাথর ছোড়ে। শুধু তা-ই নয়, যুবকের ফোন এবং মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয় তারা। এই সহিংসতার পর, যুবকটি আহত অবস্থায় পুলিশে সাহায্যের জন্য আবেদন জানান। কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণ করলেও যথাযথ সহায়তা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা এ ঘটনায় তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি চুপচাপ রাখার চেষ্টা করেছে।
এই ঘটনার পর, বেলঘরিয়ার যুবক এবং তার পরিবার গভীর হতাশা ও আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে। ভারতীয়দের জন্য বাংলাদেশে অবস্থান আরো বিপদজনক হয়ে উঠছে, বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য। প্রতিবেশী দেশে এমন আক্রমণ শুধু একটি ব্যক্তি বা পরিবারের ক্ষতি নয়, বরং তা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি এবং সহিংসতার প্রেক্ষাপট তৈরি করতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশের সরকারের প্রতি একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে, যেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং নির্যাতন বন্ধ করা হয়।