মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস রাজ্যপালের

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিংলাঃ পিংলায় মৃত বিজেপি কর্মী শান্তনু ঘোড়াই এর পরিবার পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি এক ঝটিকা সফরে কলকাতা থেকে ট্রেনে করে খড়গপুরে উপস্থিত হন। এরপর খড়গপুর থেকে গাড়িতে করে তিনি পিংলায় গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তিনি এই মৃত শান্তনুর গ্রামে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। যদিও রাজ্যপাল পৌঁছতে শান্তনু ঘোড়ই এর পরিবার রাজ্যপালের কাছে পায়ে ধরে বিচারের দাবি তোলেন এবং কান্নাকাটি শুরু করেন। যদি ওই দিন রাজ্যের রাজ্যপাল পরিবারের পাশে দাঁড়ান সমবেদনা জানান এবং বলেন বিচার দেওয়ায় আমার কর্তব্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার বাড়বাসীর বাসিন্দা শান্তনু ঘোড়ই গত ২২ সে মার্চ দুপুর দুটোর পর থেকে কাজের নাম করে ঘর বেরিয়ে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি। এরপর বাড়ির লোকজন শান্তনু বাড়ি না ফেরায় বিকেল থেকে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পর্যন্ত। অবশেষে রাত্রি দশটা নাগাদ থানায় অভিযোগ করতে গেলে খবর আসে যে শান্তনুকে একটি জমির ধারে পাওয়া গেছে হাতে গামছা বাঁধা অবস্থায়। এরপর তাকে বাড়ির লোক খুঁজতে গিয়ে দেখে না নাকে মুখে রক্ত,গোটা চারদিকে রক্ত।এই ঘটনায় পরবর্তীকালে বাড়ির লোকজন খড়গপুর থানায় কয়েকজনের নামে অভিযোগ করতে যায় কিন্তু বাড়ির লোকের অভিযোগ সেই সময় পুলিশ তাদের অভিযোগ না নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখে থানায়। এরপর বিজেপি প্রার্থী হিরন পৌঁছাতে অভিযোগ হয় থানায়। সেই অভিযোগ পত্রে বিজেপি করার অপরাধে তাকে যে শাসানো হতো সেই ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছিল। সেই ঘটনায় সেই সময় বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় মৃতের বাড়িতে দেখা করতে গেলে হিরণকে কাছে পেয়ে ভেঙে পড়ে পরিবার এবং পা ধরে আবেদন করে বিচারের জন্য।

এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, '' আমি এই মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি নিজের স্বচক্ষে দেখেছি, একটি বাচ্চা যে হারিয়েছে তার বাবাকে একজন স্ত্রী হারিয়েছে তার স্বামীকে।খুনি একমাত্র খুনিই হয়।খুনিকখনো কোন পার্টির বা জাতির হতে পারে না এবং তার জায়গা হল একমাত্র জেল। তিনি এও বলেন রাজনৈতিক কারণে মারা গেছে তা কিনা তা খতিয়ে দেখবে ইনভেস্টিগেশন অফিসাররা। পাশাপাশি তিনি এও বলেন এই ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। এ ভোট বুলেটের নয় বরং ব্যালটের মধ্য দিয়েই হবে। দোষীরা কেউই ছাড়া পাবে না। ''