নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোল: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে জাহানারা খানের। ৫৭ বছর বয়সী জাহানারা খান জামুরিয়া বিধানসভায় ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল এবং ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাম বিধায়ক ছিলেন। ২০১১ সালের রাজ্য যখন পরিবর্তনে হাওয়া তখন তৃণমূলের প্রার্থী প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কে সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খান প্রায় ১০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৬ সালের ভোটেও সাড়ে ৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন সিপিএমের জাহানারা খান। তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সেবার ভি শিবদাসন। ২০২১ সালে অবশ্য তাকে আর প্রার্থী করা হয়নি।
২০২২ সালে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের নতুন রাজ্য সভানেত্রী করা হয় পশ্চিম বর্ধমানের জাহানারা খানকে। সংগঠনের ২৯তম রাজ্য সম্মেলনে জামুড়িয়ার প্রাক্তন বিধায়ক জাহানারাকে রাজ্য সভানেত্রী করা হয়। বিধায়ক থাকাকালীন এবং স্থানীয় স্তরে ডাকাবুকো নেত্রী হিসেবেই তাঁর পরিচিতি আছে। জাহানারা খান পেশায় একজন ছোট্ট প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষিকা। জামুরিয়া বিধানসভার কেন্দা এলাকায় তার বাড়ি। মোট সাত ভাই বোন। দুই ভাই পাঁচ বোন। যার মধ্যে এক ভাই মারা গেছেন। বাবা রমজান খান ছিলেন ইসিএলের কর্মী ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনে যুক্ত। তাঁর ঠাকুমা কুলসুম বিবি ছিলেন সিপিএম নেত্রী। জাহানারা খান আজও তার ভাই বোনদের নিয়ে ইসিএলের পরিত্যক্ত ছোট্ট একটি আবাসনেই থাকেন। সাদামাটা জীবন যাপন।
হুগলির বেগমপুর থেকে প্রাইমেরি ও আপার প্রাইমেরি স্কুল থেকে পড়াশুনা। কেন্দা হহাই স্কুল থেকে নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়াশোনা তার। তিনি রানিগঞ্জ গার্লস কলেজ থেকে পড়াশুনা করেন। ১৯৯০ সালে তিনি স্নাতক হন। কেন্দা গ্রামের পাশে পড়াশিয়া কোলিয়ারি এলাকা। ওই এলাকায় এখনো পর্যন্ত তিনি ওই স্কুলে কখনো পায়ে হেঁটে বা কখনো সাইকেলে বা কখনো কারো মোটরবাইকে চেপে প্রতিদিন পড়াতে যান। মূলত যুব সংগঠন থেকে তার রাজনীতিতে হাতে খড়ি।পরবর্তীকালে জামুরিয়া মহিলা সংগঠনের নেত্রী হয়ে ওঠেন। এমনকি ২০০৯ সালের পর জামুরিয়া পঞ্চায়েতের সভাপতির পদেও ছিলেন। ওই সময়কালেই বিধানসভার টিকিট দেওয়া হয়েছিল।
প্রচারে বেড়িয়ে জাহানারা খান বলেন '' দল আমার উপর আস্থা রেখেছে। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে লড়াই শিল্প কারখানা মেহনতি মজদুরদের জন্য আমি লড়াই করব। রাজ্যে দিদি এবং কেন্দ্রে মোদি সরকারের যে বঞ্চনা সেই বঞ্চনার জবাব দেবে আসানসোলের মানুষ। ''