নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ গত ২১ শে মার্চ বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া নারায়ণগড় বিধানসভার অন্তর্গত তিন নম্বর নারমা অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারে আসেন। প্রচার শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুন মালিয়া বলেন, আমি এলাকায় প্রচার যাচ্ছি এত মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি , জানিনা কোথায় রাখবো। আমি আর বিরোধীদের কথা ভাবছিই না, মানুষই পার করে দেবে আমায়।
এবার তৃণমূল প্রার্থীর মন্তব্য পালটা কটাক্ষ করলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। আজ তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নারায়ণগড় বিধানসভার অন্তর্গত ২ নং গ্রামরাজ অঞ্চলের বীরবীরা শীতলা মন্দির ও কোতাইগড় এর শিবালয় মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন।
প্রখর রৌদ্রুর মধ্যে পায়ে হেঁটে প্রায় এক কিলোমিটার প্রচার করেন তারপর বাইকে চেপে গ্রামরাজ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার করেন। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনেন।
প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভূপতিনগর এন আই এর উপর হামলা থেকে শুরু করে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কটাক্ষ করে বলেন, দেখা যাক না। উনি কি কাজ করেছেন তার ছেঁচপত্র একটু বার করুন। উনি বলেছেন আমাদের সাংসদ দিলীপ ঘোষ মহাশয় নাকি কোন কাজ করেনি। দিলীপবাবু তার ছেঁচপত্র বের করে দিয়েছেন। উনিতো মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক, উনি মেদিনীপুরের জন্য কি কাজ করেছেন সেটা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ জানতে চাইছে। উনাকে বলুন তার ছেঁচপত্র বের করতে।
পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগরে NIA উপর হামলার ঘটনা নিয়ে বলেন, এন আই এর ওপর হামলার ঘটনার দায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিতে হবে। আগেও দেখেছি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তার গুন্ডারা ইডির উপর হামলা চালিয়েছে। আজকে আমরা আবার সেই দৃশ্য দেখলাম। এই উস্কানি এবং উত্তেজিত করা। মানুষকে বিভ্রান্তি করা। আজকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সেন্ট্রাল এজেন্সী এলে বাড়ির মহিলারা হাতা,খুন্তি, লাঠি বাড়িতে যা আছে তা বের করে অ্যাটাক করুন। সুতরাং এই দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতেই হবে। আজকে এই যে সরকার চলছে শেখ শাহজাহানের মত ক্রিমিনালদের হাতে চালিত। আজকে শাহজাহান ড্রাগস থেকে গাধার ব্যবসা করছে। সবই ৭০/৩০ এর ভাগ। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার ফ্লোর থেকে শেখ শাহাজাহানকে সাপোর্ট করেন।
প্রখর রোদ্দুরে মধ্যে প্রচার প্রসঙ্গে বলেন, সবার কাছে কষ্টকর এই প্রচার। বিজেপির সমস্ত কর্মীদের বলেছি বারোটা থেকে চারটি পর্যন্ত প্রচার বন্ধ রাখতে। ইনডোর মিটিং, মানুষের সঙ্গে দেখা করা ভোজন এইসব করতে। কষ্ট তো হবেই, কষ্ট করলে কেষ্ট আসবে। দুই মাস কষ্ট ৫ বছর কেষ্ট।
প্রচারে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, আমার কথা বললে হবে না আমার কার্যকরতা দিয়ে দেখুন। আমার কাছে তো তবুও গাড়ি আছে। এরা আজকে সাইকেলে করে পায়ে হেঁটে পতাকা নিয়ে দৌড়ে দৌড়ে আসছে। আর আমি হচ্ছে সাধারণ মানুষ, সাধারণ কার্যকর্তা। ফলের রস, দই, ছানা বেশি পছন্দ করি। পাশাপাশি প্রচারে গেলে কার্যকর্তারা যা দিচ্ছে ভালোবেসে তাই আমি খাচ্ছি।