কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ সিপিএমের

কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। 

author-image
Adrita
New Update
ইউহ

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ সিপিএমের। জানা গিয়েছে যে, এক বেসরকারি কারখানায় জোর করে ঢুকে কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে নোটিশ প্রত্যাহার ও কারখানার গেটে দাঁড়িয়ে এই সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ কমিশনে দায়ের করেছে সিপিএম। তৃণমূলের দাবি, দুর্গাপুরের সগড়ভাঙার এক বেসরকারি কারখানা ১৬ জন আধিকারিককে স্থায়ী থেকে অস্থায়ী শ্রমিক করে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলো। এই অধিকারিকরা কারখানার টারবাইন অপারেট করতেন। বুধবার দুপুরেই নাকি এই মর্মে নোটিস জারি হওয়ার কথাও ছিলো।

আইএনটিটিইউসি মারফত এই খবর যায় তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের কানে। তিনি বর্ধমান থেকে সোজা ওই কারখানায় চলে আসেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের এই তুঘলকি নোটিস নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নোটিশ প্রত্যাহার করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর এই নিয়েই চটেছে সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থী জোর করে কারখানায় ঢুকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ওই নোটিস প্রত্যাহার করিয়ে গেটের বাইরে এসে এর বিনিময়ে ভোট চেয়েছেন শ্রমিক, আধিকারিকদের কাছে। এটা নির্বাচন বিধি ভঙ্গের সামিল বলে সিটুর দাবি।

সিটুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, " কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই আধিকারিকদের পুনঃনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিলো। একটি এজেন্সিকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলো। আমরা প্রতিবাদ করে আলোচনা চেয়েছিলাম। পরে কর্তৃপক্ষ ওই পরিকল্পনা স্থগিত রেখে আলোচনাতে রাজিও ছিল। আচমকা তৃণমূল প্রার্থী জোর করে কারখানায় ঢুকে কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রত্যাহার করতে বলে। পরে গেটে এসে এই নোটিস প্রত্যাহারের বিনিময়ে ভোট চান। এটা বিধি ভঙ্গ। এইভাবে কিছুর বিনিময়ে ভোট চাওয়া যায়না। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করছি।"

এই বিষয়ে দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন," কর্তৃপক্ষ স্থায়ী কর্মীদের অস্থায়ী করতে চাইছিলো। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে এর প্রতিবাদ করি। কর্তৃপক্ষ ওই নোটিস প্রত্যাহার করে। আনন্দে শ্রমিকরা কেঁদে ফেলেন। সিপিএম যা বলছে বলুক। ওদের কাজই হচ্ছে স্রেফ অভিযোগ করা। "

উল্লেখ্য, এর আগে দুর্গাপুরের এক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা নিয়েও কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছিল সিপিএম। 

Add 1