নিজস্ব সংবাদদাতাঃ প্রতি বছর ৩১অক্টোবর বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় “হ্যালোইন উৎসব”। কালীপুজোর আগের দিন যেমন আমরা “ভূত চতুর্দশী” পালন করে থাকি। স্বর্গত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে পুজোপাঠ আর জ্বালানো হয় চোদ্দ- প্রদীপ। বাড়ির উঁচু জায়গায় সারা কার্তিক মাস জুড়ে একটা প্রদীপ জ্বেলে রাখি, যাতে আলোর পথ ধরে আমাদের পূর্বজরা আকাশের তারাদের দল থেকে নেমে পথ চিনে চিনে স্বজনের কাছে আসবে বলে।
এখন কেবলমাত্র পশ্চিমী দেশগুলিতেই নয়, ভারতের মতো আরও অনেক দেশেও ধূমধাম করে হলোইন পালিত হয়। প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর সারা বিশ্বের খ্রিস্টানরা এই দিনটি পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে উদযাপন করেন। এদিন সেইন্ট , মহাপুরুষ ও শহীদদের স্মরণ করা হয়। সেইন্টদের সম্মান জানিয়ে, যারা এখনও স্বর্গে পৌঁছাননি তাদের আত্মার শান্তি কামনার জন্যে প্রার্থনা করা হয়।
আসলে হলোইন-এর উৎপত্তি প্রাচীন কেল্টিক উৎসব ‘সামহেন’ থেকে । যা ছিল তাদের ফসল কাটার ক্রিয়া বা অনুষ্ঠান। কেল্টিক সম্প্রদায় প্রায় দু’হাজার বছর আগে অধিকাংশ বাস করত অধুনা আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর ফ্রান্সে। এই দিনটি গ্রীষ্মের ফসল কাটা, অন্ধকার এবং ঠান্ডা শীতের আগমন বোঝায়। মরসুমের শেষ হিসেবে হ্যালোউইন পালিত হত।
প্রতি বছরই ৩১ অক্টোবর হ্যালোইন উদযাপিত হয়। আগেই উল্লেখ করেছি গ্রীষ্ম এবং শীত, জীবিত এবং মৃতের মধ্যে সংযোগ চিহ্নিত করার জন্য হ্যালোইন উদযাপন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, হ্যালোউইনের দিনে জীবিত এবং মৃতের মধ্যে দূরত্ব ঘুচে যায় ।