বিদ্যুৎ নয়, পুজোয় জ্বলে নারকেলের ঝাড়বাতি, কোথায়?

পুজোর জ্বলেনা বিদ্যুতের বাতি। বাইরের মিষ্টিও খেতে দেওয়া হয় না মাকে। দে বাড়ির পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে নানা কাহিনী।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
মমমমম



দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : ব্রিটিশদের জিনিস বর্জন! ইলেকট্রিক বিহীন পুজো ! নারকেল তেলের ঝাড়বাতিতেই পূজিতা হন ডেবরার চকনরসিংহ গ্রামের দে পরিবারের উমা।

রীতি রেওয়াজ মেনেই পূজিতা হয়ে আসছে ডেবরার চকনরসিংয়ের দে বাড়ির মা দুর্গা।এই গ্রাম থেকেই ৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। ব্রিটিশদের জিনিস বর্জন করতে হবে, তাই ইলেকট্রিক লাইটের প্রচলন নেই এই দুর্গাপুজোতে।নারকেল তেলের ঝাড়বাতিতে মা পূজিতা হন। ঢেঁকি কুটো চাল ও বাড়ির তৈরি নারলেন  নাড়ু ও সন্দেশ নিবেদন করা হয় মাকে৷

আজ থেকে ৩৬৩ বছর বর্গী হানার সময় ঘাটালের চেঁচুয়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের চকনরসিংহ গ্রামে চলে আসেন চেঁচুয়ার রাজা বাবুরাম দে।প্রজাদের মঙ্গলকামনায় দেবী দুর্গাকে চেঁচুয়া থেকে নিয়ে এসে কুলদেবতা রুপে প্রতিষ্ঠিত করেন। আর সেই সময় থেকেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন এই দে পরিবারের রাজা বাবুরাম দে, তারপর এই গ্রাম থেকেই আরো সাতজন ব্যাক্তি স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত হন৷ মূল মন্ত্র, ব্রিটিশদের তাড়াতে হবে। তাই সেই সময় থেকেই ব্রিটিশদের যাবতীয় জিনিস বর্জন করার শপথ নেওয়া হয়।তাই কুলদেবতা দুর্গা পুজোতে কোনো ইলেকট্রিক লাইটের ব্যবহার হয়না। নারকেল তেলের বড় ঝাড়বাতির আলোতেই পূজিতা হন দেবী দুর্গা।বাইরের কোনো মিষ্টান্ন নয়, নিজের ঢেঁকি ছাঁটা ধানের চিড়ে, বাড়ির তৈরি নাড়ু দিয়েই পূজিতা জন দেবী৷ বর্তমানে ওই এলাকায় ৮৭ টির বেশি পরিবার রয়েছে।সবাই দে পরিবার।

বর্তমানে সেই রীতি রেওয়াজ মেনে  দে পরিবারের দুর্গাপুজো হয়ে আসছে।পুজোর দিনগুলিতে যাত্রাপালা, বাড়ির মহিলাদের নিয়ে নাটক থাকবেই।আর এই পুজো দে পরিবারের পুজো হলেও এখন তাতে গ্রামবাসীরাও সামিল হয়। পুজোর দিন গুলিতে গ্রামবাসীরাও অংশগ্রহন করে। কুমারী পুজো,সিঁদুর খেলা সবেরই প্রচলন রয়েছে।