নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাতাসে কাশের দোলায় জানান দিচ্ছে আগমনীবার্তা। পুজো প্রায় সমাগত। উত্তর কলকাতার জনপ্রিয় কুমোরপাড়া কুমোরটুলিও সেজে উঠছে। শিল্পীরা তাঁদের হাতের জাদুতে তুলিতে টান দিচ্ছেন, ফুটিয়ে তুলছেন মৃন্ময়ী মাতৃশক্তিকে। আবার অন্যদিকে অনেক বড় বড় পুজো কমিটিগুলো একেবারে লেগে পড়েছে নিজেদের থিমকে সেরার চমক দিতে। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যম মারফত দর্শনার্থীরা দেখে নিয়েছেন কলকাতার পুজোয় এবার কোথায় কি থিম হতে চলেছে। তবে যতই থিমের পুজো আসুক কলকাতার পুজোর ঐতিহ্যের কথা কিংবা রীতিনীতির কথা বলতে গেলে কিন্তু উঠে আসে কলকাতার বিখ্যাত কিছু বনেদি বাড়ির পুজোর কথা। যে পুজোকে কেন্দ্র করে ঘটে উৎসব ও একতার মেলবন্ধন। তবে সেই ধরণের পুজো যদি দেখতেই হয়, তাহলে জেনে নিন বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে হলে আপনাকে কোথায় কোথায় যেতে হবে। আজ আমরা জানব ভবানীপুর মল্লিক বাড়ির পুজোর ইতিহাস।
জানা গিয়েছে, কলকাতার বিখ্যাত বনেদি বাড়ির পুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির পুজো। আগে অবশ্য এই পুজো কলকাতায় হত না। নবাব হুসেন শাহের আমলে এই পুজোর সূচনা হয়। কলকাতায় এই পুজো শুরু হয় ১৯২৫ সালে। এখানে প্রতিমার বৈশিষ্ট্য হল একচালা সাবেকি মাতৃপ্রতিমা। জন্মাষ্টমীর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় প্রতিমা তৈরির কাজ। দুটি ভিন্ন স্থানে সম্পন্ন হয় এই পুজো একটি দূর্গা দালান এবং অপরটি অন্নপূর্ণা দালান। বৈষ্ণব মতে এই পুজোয় পশুবলির কোনো রীতি নেই। পুজোর কদিন নিরামিষ খাদ্যই আহার হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন এই পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের মহিলারাই এই পুজোয় কাজ করে থাকেন। এই পুজোয় রঞ্জিত মল্লিক ও কোয়েল মল্লিক ছাড়াও অন্যান্য সেলেব্রিটিরা আসেন। দশমীতে সিঁদুর খেলা এবং বিজয়া দশমীতে অষ্টদূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ এই পরিবারের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য দুটি রীতি।