দিগ্বিজয় মাহালী, মেদিনীপুরঃ "এক মাসের মধ্যে নিজেকে শুধরে নিন, না হলে পরিবর্তন করে দেওয়া হবে", এভাবেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা গড়বেতার বিধায়ক উত্তরা সিংহ হাজরাকে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরার সম্পর্কে নানা অভিযোগ যে তার কাছে পৌঁছেছে তাও মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন এদিন। পিংলা এলাকার জেলা পরিষদের সদস্য উত্তরার উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করে বলেন "সরকারি ভাবে যা সাহায্য আসে জেলা পরিষদে তা বন্টনে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। বেশিরভাগ চলে যাচ্ছে গড়বেতাতে"। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরার উদ্দেশ্যে বলেন, "একাধিক অভিযোগ এসেছে তোমার নামে। এক মাসের মধ্যে নিজেকে যদি শুধরে নাও, তাহলে জেলা পরিষদ পরিবর্তন করে দেওয়া হবে"। উল্লেখ্য, গাছ কাটা থেকে বালি দুর্নীতি নানা বিষয়ে মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা গড়বেতার বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এসেছে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে জেলা পরিষদের দুই কর্মাধ্যক্ষ বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেই স্থান ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এদিন দ্রুত কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "এতদিন কেটে গেলেও কেনও কর্মধ্যক্ষ নিয়োগ না করে উত্তরা নিজে ২ টি দফতর সামলাচ্ছে?" তবে বড়সড় ধমক খাওয়ার আগেই উত্তরা বলেন, "২ কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করা হয়েছে, দ্রুত পদে নিযুক্ত হবেন তারা। "কিন্তু সেই ২ জন কারা?" মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে তাদের নাম বলতেও থতমত খান উত্তরা। অবশেষে তৃণমূল নেতা তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি পরিস্থিতি সামাল দেন। অজিত বলেন, "ডেবরার কনিকা মান্ডি এবং গোয়ালতোড়ের চন্দন সাহাকে কর্মধ্যক্ষ করা হচ্ছে"। মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা খুশি হলেও এই ২ জনের নাম যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায়নি তা নিয়েও প্রশ্ন ছুঁড়ে অজিতকে তিনি বলেন, "বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ম্যাসেজ করো, নাম কেনও জানানো হয়নি?" তবে প্রশাসনিক বৈঠকের পুরো সময়টা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে ছিলেন উত্তরা সিংহ হাজরা।