ঝুড়ি, কোদাল, বেলচা হাতে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও ১০০ দিনের কর্মীদের

author-image
Harmeet
New Update
ঝুড়ি, কোদাল, বেলচা হাতে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও ১০০ দিনের কর্মীদের

হরি ঘোষ, মালানদিঘিঃ ১০০ দিনের কাজে ৩০ টাকা টাকা মজুরি দেওয়ার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে কাঁকসার মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করে কোদাল,বেলচা, ঝুড়ি হাতে বিক্ষোভে নামল ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা। এই ঘটনায় মঙ্গলবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কুলডিহা এলাকার ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ের থেকেও অধিক সময় ধরে বর্তমানে কাজ করানো হয় তাদের। তারপরেও তাদের ন্যায্য বেতন দেওয়া হয়না। বর্তমানে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা আবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পযন্ত করানো হচ্ছে কাজ। গত কয়েক বছরে দফায় দফায় হয়েছে ১০০ দিনের কাজ। কিন্তু সেই টাকাও এখনও পাননি অভিযোগ তাদের। বর্তমানে আবার মজুরি বাবদ কাউকে ৩০ টাকা আবার কাউকে ৫০ টাকা আবার কাউকে ২০ টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা সাফ জানিয়ে দেন, এত কম টাকা নেবেননা তারা। বিক্ষোভকারীরা জানান, একাধিকবার পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। মঙ্গলবার সকালে কুলডিহা এলাকায় চলছিল ১০০ দিনের কাজ। কাজ চলাকালীন হঠাৎই তাদের ৩০ টাকা করে মজুরি দেওয়ার কথা জানানো হয়। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে কর্মরত শ্রমিকরা। ঝুড়ি, কোদাল, বেলচা নিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করে সম্পূর্ণ মজুরি দেওয়ার স্লোগান শুরু করে তারা। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলে তুমুল উত্তেজনা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে ধরে শুরু হয় বিক্ষোভ। শেষমেষ পুলিশের আশ্বাসেই ওঠে ঘেরাও। মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযূষ মুখার্জীও ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের সঙ্গে একমত হয়ে বলেন সত্যিই এই ধরনের ঘটনা বারেবারে ঘটছে। কেন্দ্রীয় সরকার ঠিকমত টাকা না দেওয়ার জন্যই সঠিক মজুরি পাচ্ছে না ১০০ দিনের কর্মীরা। তবে পঞ্চায়েত তাদের পাশে দাঁড়াবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।