নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগামী 17 মে পশ্চিম মেদিনীপুরে উপস্থিত হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। পরদিন অর্থ্যাৎ 18 মে মেদিনীপুর কলেজ মাঠে প্রকাশ্য কর্মীসভা করবেন তিনি। তার আগে সভাস্থল পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা। ছিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরাও। প্রায় চার বছর পরে এই প্রকাশ্য কর্মীসভাতে কমপক্ষে ৭০ হাজার বুথ স্তরীয় কর্মীকে হাজির করার প্রস্তুতি জেলা জুড়ে। তাই দিনরাত এক করে ঘাটাল ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলাকে তৈরি করতে শুরু করলো নেতারা। জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, "প্রতি বুথ থেকে কর্মীদের হাজির করানো হবে।" মেদিনীপুর শহরে কলেজ মাঠে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হচ্ছে। মাঠটিকে দু'ভাগে ভাগ করে চলছে কাজ। যার একটি অংশে পেছনের দিকে হেলিপ্যাড, সামনের অংশে নেত্রীর কর্মীসভার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে হেলিপ্যাড-এর কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভাব্য ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই মজবুত ছাউনি কাঠামোও তৈরি করা হয়েছে। কারণ এই মাঠেই মজবুত না থাকার কারণে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলের ছাউনি ভেঙ্গে পড়েছিল। এদিন হেলিপ্যাড তৈরির জন্য মাটি সমতল করে সেখানে বালি, ইঁট বিছানো হয়েছে। কেটে ফেলা হয়েছে পাশের গাছ গুলির বড় ডালপালাগুলিকে। মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা ঘোষণা হতেই সাজতে শুরু করেছে মেদিনীপুর শহর। সুজয় হাজরা বলেন, "দিদি প্রায় চার বছর পর রাজ্যে এমন প্রকাশ্যে কর্মী সভা করবেন। বুথস্তরীয় এই কর্মীসভাতে ৭০ হাজার কর্মীকে উপস্থিত করানোর লক্ষ্য রয়েছে। এজন্য দু'সপ্তাহ ধরেই বৈঠক চলছে জেলার সমস্ত ব্লকেই।"