জামুরিয়া, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জামুরিয়া শিল্প তালুকের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প যাতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু হয় তার জন্য জামুরিয়া চেম্বার অফ কমার্স ও সমস্ত ছোট ও বড় কারখানার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা সভা করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ সহ জেলার শীর্ষ স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জামুরিয়া সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দফতরে এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পারিষদের অধ্যক্ষ তাপস চক্রবর্তী, এডিএম(ডেভেলপমেন্ট) সঞ্জয় পাল, ডিআরডিসি পারমিতা মন্ডল, পশ্চিম বর্ধমান জেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট অফিসার,জামুরিয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক যিশানু দে, জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি রেনুকা বাউরি । জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ বলেন, "জামুরিয়া শিল্প তালুকে যাতে দ্রুততার সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি শেষ করা যায় তার জন্য জামুরিয়ার ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিভিন্ন কারখানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। সমস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষকে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে"। জেলা পারিষদের অধ্যক্ষ তাপস চক্রবর্তী বলেন, "জামুরিয়া শিল্প তালিকা প্রচুর বেকার যুবক রয়েছে। তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মোপযোগী বানিয়ে স্থানীয় কারখানার নিয়োগ করায় আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য"। জামুরিয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক যিশানু দে বলেন , "২০১৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় বেকার যুবক ও যুবতীদের জন্য এই উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে বেকার যুবক ও যুবতীদের বিনামূল্যে কর্মোপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থান করে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। মূলত পড়াশোনা শেষ করে বসে থাকা বা স্কুলছুট বেকার যুবক ও যুবতীদের যাতে কর্মসংস্থান হয় তার জন্য এই প্রকল্প"। শ্যামসেল কারখানার পক্ষ থেকে সুমিত চক্রবর্তী বলেন, "জেলাশাসক জামুরিয়া শিল্প তালুকের কমপক্ষে ২০০ জনের বেশি যুবক ও যুবতীদের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন। আমাদের কারখানা ইতিমধ্যে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথম স্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ৩০ জনকে শ্রমিকের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি এবং আগামী দিনে আরও ২০ জনকে উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে"।