নয়াগ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকে দিল বড়খাঁকড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান ও ব্লক প্রশাসন

author-image
Harmeet
New Update
নয়াগ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকে দিল বড়খাঁকড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান ও ব্লক প্রশাসন

নিজস্ব সংবাদদাতা,  ঝাড়গ্রামঃ নয়াগ্রামে নাবালিকার বিয়ে আটকে দিল বড়খাঁকড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান ও ব্লক প্রশাসন। গত ১১-০৫-২০২২ তারিখে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এর অন্তর্গত রুখনীমারা এলাকায় ঘটানটি ঘটে। রুখনীমারা এলাকার বাসিন্দা কুঁয়র মান্ডি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে এবং তিনি ওই গ্রামের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করতে গেলে বিয়ে রুখে দেন বড়খাঁকড়ি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লক প্রশাসন। হঠাৎ নাবালিকার বাবা অসুস্থ হওয়ার কারণে নাবালিকার মা তার বাবাকে নিয়ে খড়িকা মাথানি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই সুযোগে ছেলেটি ওই নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে আসে বাড়িতে। হাসপাতাল থেকে নাবালিকার মা-বাবা বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অবশেষে জানতে পারে কুঁয়র মান্ডি নামে ওই গ্রামের এক যুবক তার মেয়েকে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ভবেশ চন্দ্র মাহাত। তিনি ছেলের বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিবাহের কুফল সম্বন্ধে বোঝান। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। ছেলের বাড়িতে নাবালিকা ছাত্রীকে বিয়ের জন্য তোড়জোড় শুরু করে। পঞ্চায়েত প্রধান ভবেশ চন্দ্র মাহাত ব্লক প্রশাসনের কাছে যান এবং নয়াগ্রাম থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান। নয়াগ্রাম ব্লকের বিডিও ঋতুপর্ণা চ্যাটার্জীর সহযোগীতায় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা নয়াগ্রাম থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই দিন রাত দেড়টার সময় ছেলের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং ওই নাবালিকার বিয়ে রুখে দেয়। সেই সঙ্গে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার পড়াশোনা করার জন যাবতীয় সহযোগীতা করবে বলে জানায় ব্লক প্রশাসন। তবে নয়াগ্রাম ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে নয়াগ্রাম এলাকায় এর আগেও এইরকম অনেক মানবিকতার কাজে সাফল্য এসেছে। এদিনে ব্লক প্রশাসনের ওই সাফল্যে খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন।