বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের পর হাতির হানা রুখতে পশ্চিম মেদিনীপুরে কাটা হল পরিখা

author-image
Harmeet
New Update
বৈদ্যুতিক ফেন্সিংয়ের পর হাতির হানা রুখতে পশ্চিম মেদিনীপুরে কাটা হল পরিখা



নিউজ ডেস্কঃ মেদিনীপুর: হাতির সংখ্যা বৃদ্ধিতে চাপ বেড়েছে বন দফতরের। অন্যদিকে বনকর্মীর সংখ্যাও অনেক কম। জঙ্গলমহল ছেড়ে শহরতলিতে খাবারের খোঁজে হানা দিচ্ছে হাতির দল। কখন দলছুট হয়ে প্রবেশ করছে মেদিনীপুর শহরে। এবার মেদিনীপুর শহর ও শহরতলীতে হাতির হানা রুখতে বেশ কয়েকটি পরপর উদ্যোগ নিয়েছিল বন দফতর। অর্গানিক ফেন্সিং, বায়ো ফেন্সিং, সোলার পাওয়ার ফেন্সিং। কার্যত সবই ব্যর্থ, তাই হাতি আটকাতে গভীর পরিখা কাটা শুরু হল। মেদিনীপুর সদরের জামশোলে এই পরিখা কাটা হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় সারা বছরই হাতির পাল থাকে। জঙ্গলে খাবার, বাসস্থান ও অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করেও জঙ্গলের মধ্যে হাতিগুলিকে আটকে রাখা যায়নি। জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে তছনছ করে ফেলছে জমির ফসল। ভেঙে ফেলছে বাড়িও। হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনাও প্রায়ই লেগে আছে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া জেলাতে। বিশাল হাতির পাল এখন খাবারের খোঁজে শহরমুখী! তাই শহরকে হাতির হামলা থেকে রক্ষা করতে নতুন আরও একটি উদ্যোগ নিতে হল বনদপ্তরকে। গত জানুয়ারি মাসে মোটা টাকা খরচ করে মেদিনীপুর সদরের জঙ্গলে ৯ কিমি বৈদ্যুতিক ফেন্সিং করার পরে একদল অসাধু ব্যক্তি সেই ফেন্সিং নষ্ট করে দেয় তারের উপর গাছ ফেলে। তারও চুরি করে নিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছে। এবার মেদিনীপুর শহর ও শহরতলীকে রক্ষা করতে হাতির গতিপথে এখন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পরিখা কাটার। যাতে হাতি প্রবেশ করতে না পারে। তবে এই পরিখা-র উদ্যোগ ওড়িশা রাজ্য তৈরি করে সফল হয়েছে।