হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ প্রবল বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সোমবার সন্ধ্যার পর গতি কিছুটা কমে যায়। যতই উপকূলের কাছাকাছি আসছে ততই এর গতি আরও কমতে শুরু করেছে। ঘুর্ণিঝড় অশনি যেদিকেই যাক না কেন, স্থলভাগে এটি আর ঘূর্ণিঝড় আকারে উঠছে না। অশনির সমাধি ঘটবে সাগরেই। আর গভীর নিম্নচাপ আকারে তা স্থলভাগে উঠবে। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ভারতের অন্ধ্র, ওড়িশা উপকূলের দিকে আসবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়াবিদরা। তবে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে এব বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হবে।
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বাংলাদেশের মোংলা, খুলনা, সাতক্ষীরা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশালসহ উপকুলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাসমুদ্রকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। উপকূলের দিকে রওনা হয়েছে শত শত মাছ ধরা ট্রলার। নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে সারা বাংলাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ঘূণিঝড় অশনির প্রকোপ না পড়লেও বাংলাদেশ সরকার সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলে স্বেচ্ছাসেবীরা মাইকিং করছে। ভারত-বাংলাদেশে তাণ্ডব চালানো প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী বা আম্ফানের মতো ধ্বংসাত্মক হবে না অশনি। তারপরেও ঘূর্ণিঝড় অশনির খবরে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কেননা সিডর-আইলা আর ইয়াসের মতো ঘূর্ণিঝড়ের দগদগে ক্ষত এখনো ওইসব এলাকায় জ্বলজ্বলে। ফলে নতুন ঘূর্ণিঝড়ে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় তারা উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েছেন।