শ্মশান ঘাট ঘিরে বিক্ষোভ

author-image
Harmeet
New Update
শ্মশান ঘাট ঘিরে বিক্ষোভ

জামুরিয়া, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শুক্রবার শ্মশান ঘাট নষ্ট করা, মন্দির ভাঙা সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে জামুরিয়ার ইকরা এলাকার গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভ দেখায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল ব্যানার্জি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মদতে এই প্রাচীন শ্মশান ঘাটটি দখল করার চেষ্টা করছে জামুরিয়া শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি কারখানা। আজ সকালে ইকরা এলাকার মহিষা বুড়ি শ্মশান ঘাটে সার্থকপুর গ্রাম ও মহিষা বুড়ি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় জামুরিয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভরত স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল ব্যানার্জির মদতে একটি বেসরকারি কারখানা এই শ্মশান ঘাটে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ করছে। যার ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্মশান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই শ্মশান ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে সার্থকপুর গ্রাম সহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মরদেহ দাহ করা হয়। তাছাড়াও এই শ্মশান ঘাটে রয়েছে কালী মন্দির। চলমান খননের ফলে মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও দেহ সৎকার করতেও অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভরত স্থানীয়দের দাবি, এই শ্মশানঘাটটিকে দখল করার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে শ্মশানটি নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা চঞ্চল ব্যানার্জি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু মানুষ চক্রান্ত করে স্থানীয় মানুষদেরকে ভুল বোঝাচ্ছে। যেভাবে চারিদিকে কারখানা হচ্ছে তাতে এই শ্মশান ঘাটের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। দিন ১৫ আগে মহিষা বুড়ি, চন্ডিপুর , রেল কোয়ার্টার সহ একাধিক এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে নিয়ে ১৭ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল এই শ্মশানটিকে পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করার জন্য। সেইমতো ওই বেসরকারি কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশকিছু দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তার মধ্যে এই শ্মশানটিতে দুটি চুল্লির ব্যবস্থা করার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ রাজি হয়েছিল। এছাড়াও কালী মন্দির পুনর্নির্মাণ, হাই মাস্ট লাইট লাগানো, জলের লাইন সহ দেহ সৎকারে আসা মানুষজনদের থাকার জন্য শেড তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। সমস্তটাই লিখিত আকারে হয়। সেইমতো এই শ্মশানে কাজ শুরু করেছিলো কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিছু মানুষ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এলাকার উন্নয়নের কাজ আটকাতে চাইছেন"। এই বিষয় নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।