হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর। ঈদের এই উৎসবে বাঙালি মুসলমান ভুলে গেছে সব ভেদাভেদ। জাতির কল্যাণ কামনা ও করোনা মহামারি থেকে মানবজাতির মুক্তিতে পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বাংলাদেশে জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জামাত শেষে মোনাজাতে রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র নস্যাতের প্রার্থনা করা হয়। বাংলাদেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন খতিব। এসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানান।
আগের দুই বছর করোনা মহামারির কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ঈদের জামাতে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নেন। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিশুরাও বড়দের সঙ্গে ঈদগাহে এসেছে। তারাও একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেছে। ঈদ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, প্রবীণনিবাস, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয়কেন্দ্র, সেফহোমস, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র, দুস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এবার ঈদে ঢাকাবাসীর অধিকাংশ মানুষই গ্রামে চলে গেছেন প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে। আর যারা যেতে পারেননি তারাও হাল ছাড়েননি। কেউ কেউ ঈদের দিন সকালেও চেষ্টা করছেন কোন না কোন যানবাহণে চেপে গ্রামে যেতে। তবে ঢাকা ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় এখন এখানে চিরাচরিত ট্রাফিক জ্যাম নেই। সড়কগুলো যেন সুনসান। তাই ট্রাফিক পুলিশও যেন কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছে।