মেদিনীপুর, নিউজ ডেস্কঃ মেদিনীপুর সদর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত পিন্ডরাশোল ও তামাকবাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের জলকষ্টের ছবি তুলে ধরেছিলাম আমরা। তারপরই নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন। এখন পিন্ডরাশোলে ২ বেলা পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে মেদিনীপুর ডিভিশনের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ। তামাকবাড়িতে খারাপ হয়ে পড়ে থাকা সাবমার্সিবল সারাইয়ের কাজ শুরু করেছে মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত। উল্লেখ্য, ওই গ্রামে থাকা সরকারি সাবমার্সিবল দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান অঞ্জলি সরেনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয় নি। এমনকি মানুষজনের সমস্যা তিনি নাকি শুনতেনও না বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। উল্টে তাদের নানা কথা শোনাতেন বলে অভিযোগ। পিন্ডরাশোলে শম্ভু হেমরম নামে এক ব্যক্তির নিজস্ব সাবমার্সিবল থেকে গ্রামবাসীরা বছরের পর বছর পানীয় জল সংগ্রহ করতেন। বিদ্যুতের বিলের বিনিময়ে বছরে ৪ দিন বিনা পয়সায় তার ধান চাষের কাজ করতে হত প্রত্যেক পরিবারকে। তামাকবাড়িতে পান করতে হচ্ছে পুকুর বা কুঁয়োর ঘোলা জল। দূষিত জল পান করায় ডায়রিয়া থেকে শুরু করে নানারকম পেটের অসুখে ভুগছেন তারা। এমনকি এলাকায় থাকা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের মিড ডে মিলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে জলের জন্য। সম্প্রতি পঞ্চায়েতে দ্বিগুণ কর বৃদ্ধি হলেও জঙ্গল ঘেরা আদিবাসী গ্রামে আসেনি জল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরই তৎপর হয় ব্লক ও জেলা প্রশাসন। শাসকদলের জেলা নেতারাও জল পৌঁছে দেওয়া ও সাবমার্সিবল দ্রুত সারাইয়ের নির্দেশ দেন। পিন্ডরাশোলে ২ বেলা করে পৌঁছে যাচ্ছে পানীয় জল। কিন্তু তামাকবাড়ির ওই এলাকার রাস্তা এতটাই শুরু যে জলের গাড়ি ঢুকতে পারছেনা। তবে দ্রুত কাজ চলছে সাবমার্শিবল সারাইয়ের। এতে খুশি দুই গ্রামের বাসিন্দারা। স্বচ্ছ পানীয় জলের আশায় বুক বাঁধছেন তারা। মনিদহ অঞ্চলের তৃণমূল নেতা নির্মল মাঝি বলেন, "পিন্ডরাশোলে যতদিন না স্থায়ীভাবে পানীয় জলের বন্দবস্ত হচ্ছে ততদিন গাড়িতে করে স্বচ্ছ জল পৌঁছে দেওয়া হবে। তামাকবাড়িতে নতুন করে সাবমার্সিবল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ওই এলাকার রাস্তা শুরু হওয়ায় জল গাড়ি ঢুকতে পারছেনা। রাস্তাটিকেও চওড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে"।
খবরের জেরে মেদিনীপুর সদরের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে পৌঁছাল পানীয় জল
New Update