নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে একই পরিবারের তিনজনের প্রাণহানি। বাবার মৃত্যু শোক সামলাতে না পেরে আত্মঘাতী মা ও মেয়ে। হাওড়ার নাজিরগঞ্জের পোদরা সরকার পাড়ায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের দেহ। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতবাক নিহতদের আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের দাবি, বিমলেন্দুবাবুর দেহ দাহর পর থেকে তাঁর স্ত্রী ও মেয়কে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকলেই ভেবেছিলেন, প্রিয়জনকে হারানো শোকেই হয়তো কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বিমলেন্দুবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে। সে কারণে কেউ বিরক্তও করেননি তাঁদের। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় নাজিরগঞ্জ থানায়। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দরজা ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করতে শুরু করে পুলিশ। তবে কারও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকে পুলিশ। ঘরের ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে, ঘরের বিছানায় স্ত্রীর দেহ পড়ে রয়েছে। তাঁর পাশেই পড়েছিল বিমলেন্দু মিত্রর ডেথ সার্টিফিকেট। অন্য ঘরে পাখা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ে অমৃতার দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিমলেন্দুর মৃত্যুশোকে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে। দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মা ও মেয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই দাবি পুলিশকর্মীদের।