হরি ঘোষ, কাঁকসাঃ কারোর ১ বছর আবার কারোর ৬ মাস ধরে বকেয়া ১০০ দিনের কাজের মজুরি। প্রচন্ড গরমের মধ্যে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কাঁকসার বিদবিহারের কাজলাডিহির ১০০-র অধিক পরিবারকে। শুক্রবার সকাল থেকেই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে ১০০ দিনের কাজের কর্মীরা। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের স্থানীয় কোর কমিটির সদস্য। তৃণমূলের স্থানীয় কোর কমিটির সদস্য অভিযোগ করে বলেন, "আমি একদিকে যেমন ১০০ দিনের কাজের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছি, তেমনি ২০০ দিনের কাজেও রয়েছি। বছর পেরিয়েছে অ্যাকাউন্টে বকেয়া টাকা ঢোকেনি।" ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের অভিযোগ ঝড়-বৃষ্টি- রোদ সহ্য করে দিনের পর দিন পরিশ্রম করেছি। কিন্তু মজুরি পাচ্ছেন না সময়মতো। তারফলে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে। এলাকার অধিকাংশ পরিবার দিনমজুরির কাজের উপর নির্ভরশীল। ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সকলেই প্রায় গৃহবন্দী। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পরিবারের কর্মীরা এবং দিনমজুরি কাজে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে পুরনো ১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া রয়েছে। কারোর ১০ হাজার কারোর ২০ হাজার আবার কারোর আরও বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে। একাধিকবার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতকে মৌখিক ভাবে জানানো সত্ত্বেও কোনো সুরাহা মিলছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। স্থানীয় তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য তথা ১০০ দিনের কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা নরহরি মাঝি অভিযোগ করেন পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে কিন্তু পঞ্চায়েত বলছে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দিলে তারা কোথায় টাকা পাবে। ১০০ দিনের কাজের কর্মীদের দাবি অবিলম্বে তাদের বকেয়া টাকা দেওয়া হোক তা না হলে তারা পঞ্চায়েত ঘেরাও করে আন্দোলন করবেন। সুপারভাইজার জয়দেব মণ্ডল বলেন, "কিছু টাকা বাকি আছে সেই খতিয়ান ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতে দেওয়া হয়েছে দ্রুত ব্যাংক একাউন্টে সেই টাকা ঢুকে যাবে বলে আশ্বাস দেন।" বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, "গত বছরের মার্চ মাসেও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বকেয়া টাকা খুব দ্রুত কর্মীরা পেয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন।"
১০০ দিনের কাজে দীর্ঘ বকেয়া, বিক্ষোভ কর্মীদের
New Update