গরমে চাহিদা বাড়ছে তাল রসের

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
গরমে চাহিদা বাড়ছে তাল রসের

চন্দ্রকোনা, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ তীব্র গরম এই গরমে কেউ শরীর ঠান্ডা করতে আবার কেউ তাল রসে হাল্কা নেশার স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছে চন্দ্রকোনার তাল রস সংগ্রহের জায়গাগুলিতে। গরমে তাল রস খাওয়ার ভিড় দেখে হতবাক অনেকেই। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকার আনাচেকানাচে কান পাতলে এখন শুধু একটাই কথা শোনা যায় "প্রচন্ড রোদ ভ্যাপসা গরমে গা জ্বলে যাচ্ছে একটু তাল রস খেয়ে আসি চল"। তাই তাল রস খেতে দূরদূরান্ত থেকে যুবকেরা আসছে এখানে। এককথায় নেশাদ্রব্য পানীয় হিসাবে তালের রসকে এই গরমে তারা বেছে নিচ্ছে একটু আরামের জন্য। বছরে একটা সময় পাওয়া যায় এই তাল রস। চন্দ্রকোনার ফাঁসিডাঙ্গা, ভেলাইবনি সহ একাধিক জায়গায় রয়েছে সারিসারি তাল গাছ। আর এই প্রখর রোদের তাপে এই জায়গাগুলিতে জমতে থাকে ভিড়। শীতের খেজুর রসের মতোই গরমে তীব্র দাবদাহ থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে এখন তালতলায় ভিড় জমিয়েছে দূরদূরান্ত থেকে আসা যুবক থেকে বয়স্ক সকলেই। আর সেই তাল রস সংগ্রহ করতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ছাড়িয়ে পাশের জেলা থেকে আসছে অনেক যুবক। গাছ থেকে তাল রস সংগ্রহ করে তা লিটার হিসাবে বিক্রি করে তারা। প্রতি লিটার ২৫ টাকা করে ধাহ্য করা রয়েছে। শুধু ভিন জেলার ছেলেরাই নয় স্থানীয়রাও এসময় তালরস বেচে মোটা টাকা ইনকাম করে। তাল রসের মূলত ২ রকমের স্বাদ হয়। একটি হয় গাছ থেকে নামানো খালি মিস্টি রস। আবার তাল রসে হাল্কা নেশার স্বাদ দিতে রসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তা বিক্রি করা হয়। এই গ্রীষ্মের দুপুরে চন্দ্রকোনার এইসব জায়গাগুলিতে ঢুঁ মারলেই দেখা মিলবে রীতিমত তাল রস পানের আসর বসিয়ে যুবক থেকে বয়স্করা। তাল রস পান করা এই গ্রীষ্মে শরীরের পক্ষে উপকারি বলেই দাবি করছে অনেকে। তবে তা কতোটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।