নিজস্ব সংবাদদাতাঃ টেলিফোন হল একটি টেলিকমিউনিকেশন ডিভাইস যা দুই বা ততোধিক ব্যবহারকারীকে কথোপকথন পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। বর্তমান যুগে টেলিফোন একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে এই টেলিফোনের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠিপত্রই একমাত্র সম্বল ছিল। ১৮৭৬ সালে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল এমন একটি ডিভাইসের জন্য প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট পান যা দ্বিতীয় ডিভাইসে মানুষের কণ্ঠস্বরের স্পষ্টভাবে বোধগম্য প্রতিলিপি তৈরি করে। এরপরেই হাঙ্গেরিয়ান প্রকৌশলী টিভাদার পুস্কাস টেলিফোন সুইচের প্রস্তাব করেন, যা টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এবং অবশেষে নেটওয়ার্ক গঠনের অনুমতি দেয়। এই যন্ত্রটি আরও অনেকের দ্বারা পরবর্তীকালে বিকশিত হলেও, এটির আবিষ্কর্তা ছিলেন আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। ১৮৯২ সালে বিজ্ঞানী বেল প্রথম নিউ ইয়র্ক থেকে শিকাগো টেলিফোন কল করেন।
২০০২ সালে, বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ১০% মোবাইল ফোন ব্যবহার করত এবং ২০০৫ সাল নাগাদ সেই শতাংশ বেড়ে ৪৬% এ পৌঁছেছিল। ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ, বিশ্বব্যাপী মোট প্রায় ৬ বিলিয়ন মোবাইল এবং ফিক্সড-লাইন টেলিফোন গ্রাহক ছিল। এর মধ্যে ১.২৬ বিলিয়ন ফিক্সড-লাইন গ্রাহক এবং ৪.৬ বিলিয়ন মোবাইল গ্রাহক অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরপরেই ১৯৮৩ সালে ১জি ফোন হিসেবে মোবাইল ফোনের প্রচলন ঘটে মটোরোলা কোম্পানির হাত ধরে।
ফোনগুলিতে 'অ্যানালগ' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ফোনগুলি আকারে এবং ওজোনে বেশ ভারী ছিল। ফোনগুলি যে প্রধান উপযোগিতা প্রদান করেছিল তা হল ট্র্যাফিক তথ্যে যোগাযোগ করা। এটি মোবাইলের যুগ যেখানে শুধুমাত্র একটি থেকে একটি কল করা সম্ভব ছিল। ক্রমশ ১জি থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে আজ ৫জি-র চল শুরু হয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের মোবাইল ফোনগুলিতে জিপিএস, নানা তথ্যসহ আরও অনেক কিছু রয়েছে। মোবাইলের সফটওয়্যারগুলি আপডেট হয়ে অনেক উন্নত 'ফিচার' এনেছে, যা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য।