নিউজ ডেস্ক, ঝাড়গ্রামঃ শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের লোধাশুলী গ্রাম পঞ্চায়েতের টুটুহা গ্রামে সূর্যের আলো ফোটার পর গ্রামবাসীরা দেখতে পায় বোরো ধানের জমিতে একটি পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রামবাসীরা নিজেদের জমির বোরো ধান বাঁচানোর জন্য হাতিটিকে চাষের জমি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দাঁতাল হাতিটি বোরো ধান চাষের জমির ওপর দাপিয়ে বেড়ায়। বেশকিছু জমির ধান নষ্ট করে দেয় হাতিটি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। গ্রামবাসীরা বিষয়টি বন দফতরকে জানায়। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ওই গ্রামে গিয়ে হাতিটিকে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় পাঠাতে সক্ষম হয়। তা সত্ত্বেও যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা দাঁতাল হাতিটি ফের লোকালয়ে ঢুকে ফসলের পাশাপাশি ঘরবাড়ির ক্ষতি করতে পারে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জনান, এই এলাকায় বেশ কয়েকটি হাতি রয়েছে। মাঝে মাঝে খাবারের সন্ধানে হাতি জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। যার ফলে সন্ধ্যার পর কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। ওই হাতির দল মাঝে মাঝে বাস রাস্তার ওপর দাপিয়ে বেড়ায়।
যার ফলে লোধাশুলী-রগড়া বাস রাস্তায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দেয়। যেভাবে শুক্রবার সকালে দুলকি চালে হাঁটতে হাঁটতে হাতিটি ওই গ্রামে ঢুকে পড়ে তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। বারবার বন দফতরকে জানানো সত্ত্বেও হাতিগুলিকে অন্যত্র নিয়ে না যাওয়ায় বন দফতরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ধারদেনা করে অনেক কষ্টে চাষ করা হয়েছে। কিন্তু সেই ধান ঘরে তোলার আগেই মাঠে হাতি নষ্ট করে দিচ্ছে। কিভাবে ধারদেনা শোধ করবে সেই বিষয় নিয়ে গ্রামবাসীরা চিন্তায় পড়েছেন। তবে বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাতির যাত্রা পথে বাধা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেউ যেন হাতি কে উত্তপ্ত না করে সে ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। যাদের ফসলের ক্ষতি হচ্ছে তাদেরকে বন দফতরের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা ওই হাতিটির ওপর নজরদারি শুরু করেছে।