নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহে। এবার যৌনলালসার শিকার অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। যদিও শারীরিক পরীক্ষায় মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের চিহ্ন মেলেনি বলে প্রাথমিক দাবি পুলিশের। তবে মাদক খাওয়ানো-সহ একাধিক অভিযোগ থাকায় পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে গ্রেপ্তারও হয়েছে দুজন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার চরসুজাপুরে। কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজামুদ্দিন পাড়ার বাসিন্দা ওই পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের কিশোরী মেয়েকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিন সন্ধ্যাবেলা নির্যাতিতা ও তার দিদি বাড়িতে ছিল। আলাদা ঘরে ঘুমোচ্ছিল। বাড়িতে ছিলেন না মা। রাত ৮টা নাগাদ কিশোরী ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। বুধবার নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট করায় পুলিশ। কুম্ভিরা ফাঁড়ির পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দাবি, মায়ের সামনেই মেয়ের মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ বলছে মেয়েটির ধর্ষণ হয়নি। যদিও এখনও রিপোর্ট জমা পড়েনি। তবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মাদক খাওয়ানো, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে পকসো ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে আদালতে তুলে নিজেদের রিমান্ডে নেমে পুলিশ।