পর্যটকের ভিড় নেপুরার সূর্যমুখী ক্ষেতে

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
পর্যটকের ভিড় নেপুরার সূর্যমুখী ক্ষেতে

নেপুরা, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নেপুরার সূর্যমুখী ক্ষেত এখন ভাইরাল। সেলফি প্রেমীদের ভিড়ের চাপ সূর্যমুখীর জমির সঙ্গে পাশের অন্যান্য সবজির জমিতেও। বিকেল হলেই সূর্যমুখীর মাঠের ভিড় এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল ও আলোচ্য। মেদিনীপুর শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এই নেপুরা গ্রাম। ওই এলাকার কৃষক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বছরের এই সময়টাতে বিভিন্ন সবজির চাষ করে থাকেন। গ্রামের পাশে থাকা মাঠে এবার আলু লাগিয়েছিলেন। কিন্তু অতিবর্ষণ জনিত কারণে বেশ কয়েক দফাতে সেই চাষ নষ্ট হয়েছে বারবার। হতাশ হয়ে আর আলু না লাগিয়ে সূর্যমুখীর বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন পড়ে থাকা পাঁচ বিঘা জমিতে। জলে ডুবে থাকা এক সময়ের সেই জমিতে সূর্যমুখী এবার ব্যাপক ফলেছে। গত একমাস ধরে ফাঁকা মাঠ জুড়ে থাকা পাঁচ বিঘা জমির সেই সূর্যমুখীর রূপ দেখতে ভীড় সেলফি প্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের। মেদিনীপুর শহর ছাড়াও ৪০ কিলোমিটার দূরে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলার লোকজনও এই সূর্যমুখীর মাঠে এসে ভিড় করছেন বিভিন্ন রকম ছবি তোলার জন্য। মেদিনীপুর শহর তল্লাটে থাকা বিভিন্ন সাজানো ঘর ছেড়ে শহরের বাসিন্দারা ৭ কিলোমিটার দূরে থাকা সূর্যমুখীর মাঠকেই বিনোদনের স্থান হিসাবে বেছে নিয়েছেন। প্রতিদিনই দুপুরের পর শয়ে শয়ে মানুষ বাইক ও চার চাকার গাড়ি নিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে ও ছবি তুলতে। দর্শনার্থীদের চাপে হারিয়ে যাচ্ছে সূর্যমুখীর পাশে থাকা অন্যান্য সবজির জমি, এমনকি সূর্যমুখী গাছও। তা হলেও বিষয়টিকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন চাষী তথা জমির মালিক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ। মেদিনীপুর শহর থেকে ফুল দেখতে যাওয়া এক বাসিন্দা রাকেশ দাস বলেন-" সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি এই সূর্যমুখীর মাঠ মারাত্মকভাবে ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ এখানে এসে ছবি তুলে তা ভাইরাল করেছেন। মনোরম ওই ফুলের দৃশ্য দেখতে সকলেই ভিড় করছেন। তাই নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না। পরিবারের সঙ্গে এই মাঠে এলাম দেখতে"। ঝাড়গ্রাম থেকে এক যুবতী সুস্মিতা দাস সঙ্গীদের নিয়ে এই ফুলের মাঠ দেখতে হাজির হয়েছিলেন। তিনি বলেন-" প্রকৃতির এই অপরূপ রূপটা দেখার জন্য লোভ সামলাতে পারেনি। তাই ঝাড়গ্রাম থেকে এখানে হাজির হয়েছি। এই দৃশ্য উপভোগ করার মত"।