সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে উদ্ধার ৮১ লাখ টাকার নগদ ও গহনা

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে উদ্ধার ৮১ লাখ টাকার নগদ ও গহনা

নিজস্ব সংবাদদাতা : গুজরাতের দুর্নীতি দমন শাখা এপ্রিলের শুরুতে ৮১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই টাকা। গ্রেড ওয়ানের একজন টাউন প্ল্যানার ওই টাকাটা জমা করেছিলেন, যাকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এ মাসের শুরুতে। অভিযুক্তের নাম নয়ন নটওয়ারলালা মেহতা। টাউন প্ল্যানিং এবং ভ্যালুয়েশন বিভাগের অধীনে প্রধান শহর পরিকল্পনা অফিসারের অফিসে পোস্টে আসীন তিনি। গান্ধীনগর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তে টাউন প্ল্যানিং অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বও সামলেছেন। দুর্নীতি দমন শাখার পাতা ফাঁদে মেহতার সহযোগী, সঞ্জয় হাতিলা, প্ল্যানিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (গ্রেড ৩) ধরা পরেন। অভিযুক্ত দুজনই গান্ধীনগর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির টাউন প্ল্যানিং বিভাগের সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতি দমন শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ ছাড়াও মেহেতার অফিস থেকে ৪.২২ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছিল। রিমান্ড মেয়াদে আসামিকে জেরা করার পর, আমরা তার নিজের নামে নিবন্ধিত পাঁচটি লকার দেখতে পেয়েছি এবং স্ত্রী এবং মেয়ের নামেও লকার ছিল। তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৪ লক্ষ টাকা এবং ৫৭ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা, রূপো সহ প্ল্যাটিনাম গহনা এবং পাঁচশো কানাডিয়ান ডলার পাওয়া গেছে। আমরা ৮১.২৭ লক্ষ টাকার অর্থ ও গয়না বাজেয়াপ্ত করেছি।" জানা গিয়েছে, অভিযোগকারীর স্ত্রীকে জেলা কালেক্টর গান্ধীনগরের শেরথা গ্রামে হাইওয়ের কাছে দুটি প্লটের দখল বরাদ্দ করেছিলেন। অভিযোগকারী দুটি প্লটের চূড়ান্ত পরিমাপের জন্য গান্ধীনগর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তে একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন। পরিমাপ করার ক্ষমতা অভিযুক্ত মেহতার কাছে ছিল। যিনি অভিযোগকারীর কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন অভিযোগকারী বিষয়টি দুর্নীতি দমন শাখায় রিপোর্ট করেন এবং একটি টেলিফোন কল রেকর্ডিং জমা দেন যেখানে মেহতাকে ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়। মেহতা অভিযোগকারীকে তার সহযোগী হাতিলার কাছে ১ লাখ টাকা এবং বাকি টাকা তার অফিসে তুলে দিতে বলেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এসিবি দল ফাঁদ পাতে।