ছাগল চুরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মেদিনীপুর গ্রামীণের ধেড়ুয়ায়

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
ছাগল চুরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মেদিনীপুর গ্রামীণের ধেড়ুয়ায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুরঃ ছাগল চুরিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর গ্রামীণের ধেড়ুয়ায়। পথ অবরোধ করে পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। পুলিশের ওপর হামলাও চালানো হয়। হামলার ফলে 2 জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরই বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার নেপথ্যে বালি ব্যবসায়ীদের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার ২ জন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর গ্রামীণের ধেড়ুয়াতে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকা থেকে ছাগল চুরি হচ্ছিল। এদিন ছাগল চুরি করতে আসা এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাকে নিয়ে গিয়ে ধেড়ুয়ার একটি হোটেলে আটক করে রাখা হয়। খবর পেয়ে শতাধিক মানুষ ভিড় জমায় সেখানে। চোরকে হোটেলে তোলা নিয়ে অভিযোগ জানাতে থাকে তারা। তাদের অভিযোগ, পুলিশের হাতে না দিয়ে চোরকে নিরাপত্তা দিতে হোটেল আশ্রয় দিয়েছে হোটেল মালিক। যদিও স্থানীয় উপপ্রধান কাজল সিংহ বলেন, "স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর শুরু করেছিল, যে কারণেই অঘটন এড়াতে তাকে হোটেলে রাখা হয় এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়"। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে উল্টে তাদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ। ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ির কাঁচ। আহত হন ২ জন পুলিশ কর্মী। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করা হয় পুলিশের মহিলা কনস্টেবেলকেও। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাঙচুরের নেপথ্যে বালি ব্যবসায়ীরা যুক্ত বলে অভিযোগ। ঘটনায় হোটেল মালিক তথা বালি ব্যবসায়ী প্রতাপ চন্দ্র দাস ও পঞ্চায়েত সদস্য প্রফুল্ল মাহাতকে গ্রেফতার করে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ। ছাগল চুরিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার পেছনে অন্য রহস্য দেখছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান, হোটেল মালিক প্রতাপ চন্দ্র দাস ধেড়ুয়ার একটি বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই বালি তোলার ক্ষেত্রে মেশিন ব্যবহারের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েও পায়নি প্রতাপ। তারপর থেকেই তাদের ক্ষোভ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একদিন রাতে পথ অবরোধ করার সিদ্ধান্তও নেয় ওই বালি ব্যবসায়ী সহ তার লোকজন। কিন্তু পুলিশের আগাম সর্তকতায় পিছু হটে তারা। অনেকে মনে করছেন, এদিনের ঘটনার পেছনে এই ক্ষোভই জড়িয়ে রয়েছে। যে কারণে পুলিশের উপর রাগ এসে আছড়ে পড়ে। ভাঙা হয় গাড়ি, আক্রান্ত হয় পুলিশকর্মী। গুড়গুড়িপাল থানার ওসি শুভঙ্কর রায় জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙার পাশাপাশি পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। ঘটনায় 2 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।