নিজস্ব প্রতিনিধি, পিংলাঃ আবারও এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার পিন্ডরুই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালুখাঁড়া গ্রামে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মণ্ডলকে আটক করেছে পিংলা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর নির্যাতিতা বাসন্তী পুজো উপলক্ষে তার দিদির বাড়িতে গিয়েছিল। সোমবার রাত্রিবেলা নির্যাতিতার দিদির বাড়িতে আরো অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে বাড়ির পাশে পুকুর ঘাটে বাসন মাজতে গিয়েছিল দিদির পুত্রবধূ ও সেই নির্যাতিতা। দিদির পুত্রবধূ পুকুরঘাটে যখন বাসন মাজ ছিল তখন পুকুরপাড়ে এমার্জেন্সি লাইট নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল নির্যাতিতা। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিজিৎ মন্ডল নামের ওই ব্যক্তি নির্যাতিতাকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। এরপরেই নির্যাতিতার সঙ্গে থাকা মহিলা চিৎকার করে এলাকাবাসীকে ডাকতে শুরু করে। সবাই মিলে যখন ঘটনাস্থলে যায়, ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে নিয়ে তার পরিবারের লোকেরা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আসে। তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এরপর তারা মেদিনীপুর কোতুয়ালি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগ আসে পিংলা থানায়। তারপর পুলিশ পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। অপরদিকে এরকম একটা ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।এদিকে এই ঘটনা নিয়ে, পিংলা থানা এলাকার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, "গতকাল রাতে ওই এলাকায় এক প্রতিবন্ধী যুবতীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ শুনেছি। আমরা পুলিশকে জানিয়েছে অভিযোগ যদি সত্য হয় তাহলে পুলিশ আইনত ভাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।" এর পাশাপাশি পিন্ডরুই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণপ্রসাদ বেরা বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা এই নিয়ে রাজনৈতিক দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই শাস্তি পাবে। তবে আমাদের যতটা ধারণা এই ঘটনার সঙ্গে ওই পঞ্চায়েত সদস্য কোনও ভাবে জড়িত নয়। এটি সম্পূর্ণ বিজেপি চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।"
প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে
New Update