নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ডিজেল নয়, খরচ বাঁচাতে কেরোসিন তেলে ছুটছে বেসরকারি বাস—মিনিবাস। জেলা-মফস্বল তো বটেই, শহরতলি থেকে কেরোসিনে চলা বাস ঢুকে পড়ছে কলকাতাতেও। বাসমালিকরা বলছেন, যেভাবে ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পার করেছে, তাতে বিকল্প উপায় না ভাবলে রাস্তায় আর বাস নামানো যাবে না। তবে এতে বাস মালিকদের কিছুটা সাশ্রয় হলেও কেরোসিনের দহনে পরিবেশ দূষণ বেলাগাম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী, বাসের যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষত ফুয়েল পাম্পের। তবু সব জেনেও কেরোসিনই ভরছেন তাঁরা। বাস মালিকরা জানাচ্ছেন, ডিজেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই পথ নিয়েছেন তাঁরা। জেলার এক বাস মালিকের কথায়, একটি বাসে দিনে ৫০ লিটার তেল লাগে। মানে দিনে পাঁচ হাজার টাকার তেল আর মাসে দেড় লক্ষ টাকা। বছরে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। উল্টোদিকে কালোবাজারি মার্কেট থেকেও যদি কেরোসিন কেনা হয় তাতেও তার দাম ৮০ টাকা লিটার। মানে প্রতিদিন তেলের খরচ চার হাজার টাকা। মাসে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা। আর বছরে সাড়ে ১৪ লাখ টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, বছরে প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকার সাশ্রয় হচ্ছে মালিকের। মালিকরা বলছেন, যদি ফুয়েল পাম্প ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে বদলানো হয়, তাতেও তো প্রায় তিন লাখ টাকার বেশি সাশ্রয় হবে মালিকদের। এদিকে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, কেরোসিনের দহনে দূষণের মাত্রা বহুগুণ বাড়ে। সেক্ষেত্রে পরিবেশ দূষিত হয়।