দিগবিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ প্রতি বছরের মতো এবারেও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত তিন নম্বর লছমাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষা গ্রামে অনুষ্ঠিত হল জেলার বৃহত্তম মনসা দেবীর পূজা। প্রায় চারশো বছর আগে স্থানীয় জমিদার যোগেশ্বর রায়ের হাত ধরে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল। কথিত আছে, জমিদার যোগেশ্বর রায় একদিন ভোররাতে মা মনসার স্বপ্নাদেশ পান। স্বপ্নাদেশে তিনি দেখেন চতুর্ভুজা মা মনসা হাত নেড়ে তাকে বলছেন, মহিষা গ্রামের জঙ্গলে উই ঢিপিতে তিনি বিরাজ করছেন এবং তাঁকে যেন পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে পুজো করা হয়।সেই মোতাবেক সূর্যোদয়ের পরে জমিদার সদলবলে গিয়ে জঙ্গল পরিষ্কার করে একটি উইঢিপি দেখতে পান এবং ওইখানে মনসা মায়ের নিয়মিত পূজার ব্যবস্থা করেন।
সারা বছর ধরে পুজো হলেও চৈত্র মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার মহিষাতে মা মনসার পূজা হয় এবং বিশাল মেলা বসে। যা জেলার বৃহত্তম তো বটেই গঙ্গাসাগরের পরে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলা বলেও মনে করা হয়।
পুজা আয়োজকদের তরফে জানানো হয়,এই দিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এমনকী পার্শ্ববর্তী রাজ্যে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রান্ত্ থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই মেলাকে কেন্দ্র করে।
এছাড়াও এই বিশেষ দিনের বিশেষত্ব হলো মনসা দেবীর মন্ত্রপূতঃ জলে স্নান করিয়ে হলুদ মাখিয়ে অসংখ্য পায়রা উড়িয়ে দেওয়ার রীতি এখানে রয়েছে।