বাংলা বন্ধের ডাক দিয়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার; এলাকায় চাঞ্চল্য

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
বাংলা বন্ধের ডাক দিয়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার; এলাকায় চাঞ্চল্য

নিউজ ডেস্কঃ ঝাড়গ্রামঃ ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার ভান্ডারগেড়িয়া এলাকায় বাংলা বন্ধের ডাক দিয়ে এবং তৃণমূল নেতাদের হুমকি দিয়ে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বাংলা বন্ধের ডাক দিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের পড়িহাটি এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার করল পুলিশ। ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে ক্রিমিনাল দের স্পেশাল হোমগার্ড পদে কেন নিয়োগ করা হয়েছে তার জবাব চাই। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা হুশিয়ার। ৮ ই এপ্রিল বাংলা বনধ পালন না করলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে বলে লেখা রয়েছে। পোস্টার এর শেষে লেখা রয়েছে সিপিআই মাওবাদী। সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে লেখা মাওবাদী নামাঙ্কিত ওই পোস্টার কে কেন্দ্র করে রীতিমতো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। একসময় মাওবাদীদের আঁতুড়ঘর বলে ওই এলাকা পরিচিত ছিল। সেই সময়ের কথা আজও কেউ ভুলে যায়নি। রাজ্যে পরিবর্তনের পর ২০১১ সালে উন্নয়নের মাধ্যমে জঙ্গলমহলের শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। একাধিক মাওবাদী নেতা রাজ্য সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করে। যার ফলে মাওবাদী আন্দোলন থমকে যায়। কিন্তু ফের মাওবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তাই ঝাড়গ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী ঝাড়খণ্ড এলাকায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন রাস্তায় চলছে তল্লাশি অভিযান। তবে পুলিশের অনুমান মাওবাদী নামাঙ্কিত যে পোস্টার গুলি উদ্ধার হয়েছে তা মাওবাদীদের নয়। কারা ওই পোস্টার দিয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে যেমন চমকে ওঠে তেমনি জঙ্গলমহলের মানুষ জঙ্গল মহলের আকাশে অন্ধকারের মেঘ ঘনিয়ে আসছে বলে আশঙ্কা করছেন। তাই আগামী 8 এপ্রিল বনধ এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে জঙ্গলমহলের মানুষ। কারণ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর কোন বনধ হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস বনধ সমর্থন করেনি। রাজ্যে তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর যে তিনজন খুন হয়েছিলেন তার মধ্যে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা এবং ঝাড়খন্ড পার্টির যুবনেতা বাবু বোস। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকর্মী খুন হয়নি। জঙ্গলমহলে একাধিক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে, মেডিকেল কলেজ তৈরি হয়েছে, জঙ্গল কন্যা সেতু তৈরি হয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলে জঙ্গলমহলে কিছুটা শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তা সত্বেও এক শ্রেণীর মানুষ জঙ্গল মহল জুড়ে ফের অশান্তি করার চেষ্টা করছে বলে বেশ কিছু মানুষ অভিযোগ করেন। তবে ঐ পোস্টার কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।