নিউজ ডেস্কঃ ঝাড়গ্রাম: ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের আংগারনালী এলাকায়। ওই এলাকায় কলাইকুন্ডা এয়ারফোর্সের বোম্বিং এরিয়া রয়েছে। ওই এলাকায় এয়ারফোর্সের বোম ফেলা হয়। সেই পরিতক্ত বোমার সেল থেকে গ্রামবাসীরা অনেক সময় তামা বের করে তা বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে। তাই বাড়িতে বোমার একটি পরিতক্ত একটি সেল নিয়ে এসে তামা বের করার সময় একই পরিবারের চার জন বিস্ফোরণে আহত হয়। যখন তারা পরিতক্ত বোমার সেল থেকে বাড়ির কামারসালাতে তামা বের করানোর কাজ করছিল সেই সময় সেলটি ফেটে যায়। যার ফলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে উঠে। ওই ব্যক্তির বাড়িটি ও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রামজীবন রানা সহ আহত তিন জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভাঙ্গাগড় গ্রামীণ হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা রামজীবন রানাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তার বয়স ৪৫ বছর। আহত মৃতের স্ত্রী মালতী রানা ও মেয়ে মেনকা রানা এবং মৃতের জামাই সুরজিৎ রানা কে স্থানীয় ভাঙাগড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু
তাদের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাদেরকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঠিক কী কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।