হরি ঘোষ, লাউদোহা : বুধবার বিকেলে লাউদোহা ব্লকের ঝাঁজরা নতুন কলোনি কমিউনিটি হলে আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপির একটি কর্মীসভা হয়। সেই কর্মীসভায় যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই সহ অন্যান্যরা। সভা শেষে তিনি মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের।
তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাইরাল হওয়া ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বলেন, কমিশন যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমরা মনে করছি এটা গুরু পাপে লঘুদন্ড দেওয়া হয়েছে। ১২ই এপ্রিল সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত নরেন চক্রবর্তীকে জেলে ঢুকিয়ে রাখা উচিত ছিল।কয়লা পাচার সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুভেন্দু বাবু বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।
বলেন আমার কাছে খবর আছে পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার অশোক মিশ্র তদন্তকারীদের কাছে পাচারের টাকার সুবিধাভোগীদের নাম বলেছেন। মন্ত্রি মলয় ঘটক, তৃণমূল নেতা ভি,শিবদাসন দাশু,জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরে রাম সিং এর ছেলে এরাও পাচারের টাকার সুবিধাভোগী। এদের সবার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু বাবু। সভা শেষে গাড়িতে ওঠার সময় শুভেন্দু বাবু তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দেয় 'শুভেন্দু অধিকারী গো-ব্যাক, এবং সাথে জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্দেশ্যেও কটু কথা বলতে শোনা যায় বিক্ষোভ রত তৃণমূল কর্মীদের থেকে।বিজেপি কর্মীরাও জয় শ্রীরাম, শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে শুরু করে। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।তবে প্রশাসনের এদিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা। কিভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে এতবড় ঘটনা ঘটে গেল? যদিও দ্রুত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে নির্বিঘ্নে সভাস্থল ছাড়েন শুভেন্দু বাবু। হাটিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল কর্মীদেরও।তবে শাসক দলের বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু বাবুর অভিযোগ ও তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শাসক দলের পক্ষ থেকে।