New Update
নিজস্ব সংবাদদাতা : কর্ণাটকের উডুপি জেলার চল্লিশজন মুসলিম ছাত্রী মঙ্গলবার তাদের প্রথম প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা থেকে বিরত ছিল। নেপথ্যে হিজাব রায়। কর্ণাটক হাইকোর্টের শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার রায়ে বিরক্ত হয়েই পরীক্ষায় না বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সূত্রের খবর, শিক্ষার্থীরা হেডস্কার্ফ না পরে পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তারা ১৫ মার্চের আদেশে অসন্তুষ্ট ছিল। ১৫ মার্চ, কর্ণাটক হাইকোর্ট শ্রেণীকক্ষে হিজাব পরার অনুমতির অনুরোধ করে পিটিশন খারিজ করে দেয়। হাইকোর্ট বলেছে যে হেড স্কার্ফ পরা ইসলাম ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় রীতি নয় এবং যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এটি বাধ্যতামূলক সেখানে একটি অভিন্ন ড্রেস কোড অনুসরণ করা উচিত। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কুন্দাপুরের ২৪ জন ছাত্রী, এর মধ্যে ১৪ জন বাইন্দুর ও ২ জন উডুপি সরকারি গার্লস পিইউ কলেজের ছাত্রী। তারা পরীক্ষা এড়িয়ে গিয়েছে কারণ তারা ক্লাসে হিজাব পরা নিয়ে আদালতের লড়াইয়ে জড়িত। এর আগে তারা ব্যবহারিক পরীক্ষাও বয়কট করেছে। আরএন শেঠি পিইউ কলেজের ২৮ জন মুসলিম ছাত্রীর মধ্যে ১৩ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিছু শিক্ষার্থী হিজাব পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ায় তাদের প্রবেশে বঞ্চিত করা হয়েছে। উদুপির ভান্ডারকর কলেজের পাঁচজন ছাত্রীর মধ্যে চারজন পরীক্ষা দিয়েছে, আর বসরুর শারদা কলেজের সমস্ত ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে।নবুন্দা সরকারি পিইউ কলেজের আটজন ছাত্রীর মধ্যে ছয়জন পরীক্ষায় বসেননি, যেখানে দশজন মুসলিম ছাত্রীর মধ্যে মাত্র দুইজন পরীক্ষায় বসেছিল।সূত্রের খবর অনুযায়ী, জেলার কিছু বেসরকারি কলেজ হিজাব পরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
bjp
exam
karnataka
education
students
politics
karnatakahighcourt
hijabroe
uddupi
Basrur Sharada college
PU college