১৯ মার্চঃ জাতীয় চকলেট ক্যরামেল দিবস

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
১৯ মার্চঃ জাতীয় চকলেট ক্যরামেল দিবস

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ চকলেট খেতে ভালবাসে না, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া দুস্কর। ''চকলেট'' এমন এক লোভনীয় খাবার, যা ছোট-বড় সকলের অতি প্রিয়। তাই ১৯ মার্চ দিনটিকে সারা বিশ্বে '' জাতীয় চকলেট ক্যারামেল দিবস''  হিসেবে পালন করা হয়। ইউরোপীয় অভিযাত্রীদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে, চকোলেট ইউরোপে এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশে তার পরিচিতি পেয়েছিল। চকলেটের সঙ্গে ক্যারামেলের মিশ্রণ যদি হয়, তবে তা আরও বেশী লোভনীয় হয়ে ওঠে। চিনি গলিয়ে ঘন করে তৈরি করা হয় এই ক্যারামেল। ক্যারামেলের নরম, ঘন 'টেক্সচার' মুখের মধ্যে এক সুখানুভূতির সৃষ্টি করে।



 এই ক্যারামেল কফি, মিল্কশেক এবং এমন আরও অনেক খাবারের দোসর। মিল্টন স্নাভেলি হার্শে একজন আমেরিকান চকলেটিয়ার। যিনি ক্যারামেলকে জনপ্রিয় করে তোলেন। তিনি তাঁর প্রথম জীবনে এই ক্যারামেল তৈরি করেই জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। ১৮০০-এর দশকের প্রথম দিকে চকোলেট ক্যারামেলের রেসিপি ছিল জনপ্রিয়। ১৮০০-এর দশকে, যখন আমেরিকার সমস্ত বড় ক্যান্ডি নির্মাতারা ঐতিহ্যবাহী হার্ড ক্যান্ডি তৈরি করছিলেন, তখন মিল্টন হার্শির ''ল্যাঙ্কাস্টার ক্যারামেল কোম্পানি'' এমন কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে একটি ছিল যারা হার্ড ক্যান্ডির পরিবর্তে চকোলেট-আচ্ছাদিত ক্যারামেল তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছিল। 



 কিন্তু ১৮৯৩ সালে এই চকোলেট-আচ্ছাদিত ক্যারামেলগুলি সত্যিই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। চকলেট বার তৈরির জন্য জার্মানদের দ্বারা ব্যবহৃত মেশিনগুলির দ্বারা হার্শে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে তিনি একই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছিলেন এবং ক্যারামেল-আচ্ছাদিত চকলেটগুলি ব্যাপকভাবে উত্পাদন শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তথা ১৯৩৯-এ হার্শে শক্তির মাত্রা বাড়ানোর জন্য সৈন্যদের মধ্যে চকলেট বার বিতরণ করে। সুস্বাদু কেক, বার, ব্রাউনি, ফাজ এবং কুকিজ প্রভৃতিতে চকোলেট ক্যারামেল এক বিশেষ মাত্রা যোগ করে।