হোলির খাওয়াদাওয়া (শেষ পর্ব)

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
হোলির খাওয়াদাওয়া (শেষ পর্ব)

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হোলি এক জনপ্রিয় উৎসব যে কোন মানুষের কাছে। নানান রঙের আবিরের সাথে মন মাতানো ছোট থেকে বড় সকলের প্রিয় এই হোলি বা দোল উৎসবে যদি খাওয়াদাওয়া হয় বেশ জমজমাট, তবে মন্দ হয়না। তাই আসুন জেনে নিন কিছু লোভনীয় এবং মজাদার খাবার। হোলি মানে শুধু রঙের উৎসবই নয়, হোলি মানে ভারতের বেশ কিছু ট্রাডিশনাল খাওয়া-দাওয়ার উৎসবও। আসলে নানা ভাষা-নানা মত, নানা পরিধানের দেশে রসনার স্বাদও নানারকম। সেই স্বাদ অনুযায়ী দেশের এক এক প্রদেশে খাবার-দাবারের রেসিপিও এক-একরকম।


 

পুরাণ পোলি - এটি পশ্চিম ভারতের মূলত মহারাষ্ট্রের একটি জনপ্রিয় খাবার। যা হোলির সময় এখানকার প্রায় সব ঘরেই বানানো হয়ে থাকে। সেদ্ধ মটরশুঁটির পুর দিয়ে ঠাসা একটি পরোটা বিশেষ। তবে পুরের সঙ্গে মিষ্টি মেশানো হওয়ায় পরোটার স্বাদ হয় মিষ্টি। পুরের সঙ্গে মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয় আদা ,জায়ফল ও কেজরিওয়াল। ঘি বা বাটার দিয়ে পরোটা ভাজা হয়। হোলির খাবার হিসেবে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়।



দইবড়া - ময়দা ও আলু দিয়ে তৈরী বড়া বেশ খানিক্ষণ ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে। বড়া জল শুষে নেওয়ার পর দই-এর সাথে পুদিনা পাতা ,চিনির গুঁড়ো, নারকেল কোঁড়া, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কাকুচি,ও চাট মশলা মিশিয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে বড়াগুলির ওপর। হোলিতে দইবড়াও একটি প্রচলিত পদ। 





 
ভাঙ-এর কচুরি -ভাঙ-কে শুভ পানীয় বলে ধরা হয়। এটি শিবের পছন্দের পানীয় হওয়ায় ভারতের বহু ধার্মিক অনুষ্ঠানেই এই পানীয় ব্যবহারের চল রয়েছে। বিশেষ করে হোলির দিনে ভাঙ পানের মাধ্যমে আনন্দ করার একটা প্রথাই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এর সঙ্গে আছে ভাঙ -এর কচুরি। কচুরি বানানোর উপকরণের সাথে ভাঙ মিশিয়ে পুর তৈরী করে কচুরি ও পকোড়া তৈরী করা হয়। সঙ্গে থাকে ভাং মেশানো চাটনিও। এটি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে হোলির দিনের জন্য একটি মনপসন্দ খাবার।