নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কয়েকশো বছর আগে গড়ে উঠেছিল রাজবাড়ী। প্রাচীনকালে শাসন ব্যবস্থার আর এই রাজবাড়ী থেকেই পরিচালনা হত। বর্তমান সমাজে আর রাজবাড়ির তেমন একটা কদর্য দেখা যায় না আমাদের সমাজে। তাই পুরাতন সেই রাজবাড়ী গুলিও ক্রমে ক্রমে কার্যত শেষ হতে চলেছে। বর্তমান সমাজে রাজবাড়ির প্রাধান্য না থাকলেও রাজনীতির প্রধান মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রাজনৈতিক নেতাদের কাছেই পুরাতন ঐতিহ্যের রাজবাড়ী গুলি সংরক্ষণের দাবি জানালেও বিশেষ একটা গুরুত্ব পায় না। রাজ্য তথা দেশের সর্বত্রই বেস্ট কয়েকটি ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ির এমনই ভগ্নপ্রায় দশা।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা বিধানসভার অন্তর্গত নারাজল এ অবস্থিত তৎকালীন রাজা উপেন্দ্রনাথ খান সহ তার পরিবারের এই ঐতিহ্যশালী রাজবাড়ী আজ ধ্বংসের মুখে। রাজপরিবারের সদস্য সন্দ্বীপ খান জানান সরকারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে যাতে করে এই ঐতিহ্যশালী রাজবাড়িটি সংরক্ষণ করা যায়। একের পর এক সরকারের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু পরিবর্তন হয়নি রাজবাড়ীর, বর্তমান সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে পর্যটন দপ্তরের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তা মুখে বললেও কাজেই এখনো দেখা যায়নি এমনই অভিযোগ রাজবাড়ীর সদস্যর। পাশাপাশি রাজবাড়ির সদস্য অনামিকা খান জানান রাজবাড়ী থেকে সম্পূর্ণরূপে সরকার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে ওইখান থেকে সরকারের কিছুটা যেমন অর্থ আসবে তেমনি প্রাচীন ঐতিহ্যশালী রাজবাড়িটি যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে এক স্মরণীয় স্থান হিসেবে থেকে যাবে। পুরাতন এই রাজ বাড়িতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা জানিয়েছেন রাজবাড়ী থেকে সংরক্ষণ করে এখানে পার্কের পরিবেশ গড়ে তুললে অনেকটাই বিনোদন জায়গার পরিবেশ গড়ে উঠবে। পর্যটকদের দাবি জায়গাটিকে সুন্দরভাবে গার্ডেনিং করে পুকুরে বোটিং সিস্টেম চালু থাকলে পর্যটকদেরও মনোগ্রাহী হবে। অপরদিকে দাসপুরের বিধায়িকা মমতা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের আওতায় আনা হয়েছে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।