হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। সঙ্গে রান্না বান্নার আয়োজনও। ঠিক তখনই বিয়ে বাড়িতে হাজির হল চাইল্ড লাইন এবং পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। কারণ পাত্রী নাবালিকা। জেমুয়া ভাদুবালা বিদ্যাপীঠের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া সে। বিয়ে হওয়ার কথা সোমবার রাত্রিতে। ঘটনাটি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের জেমুয়া এলাকায়। ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বোঝানো হয় পরিবার-পরিজনকে। লাউদোহা রাঙ্গামাটি এলাকায় যুবকের সাথে জেমুয়া এলাকার নাবালিকার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লাউদোহা ব্লকের যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্তর নেতৃত্বে চাইল্ড লাইন ও নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ একযোগে পৌঁছে যায় নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজনের আসরে। ডেকে পাঠানো হয় ওই নাবালিকা, তার বাবা ও মা কে, দেখতে চাওয়া হয় নাবালিকার বয়সের প্রমানপত্র ও আঁধার কার্ড। সব কিছু দেখার পর শেষ পর্যন্ত ওই নাবালিকা ও তার পরিবারকে জেরা শুরু করেন লাউদোহার যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্ত ও চাইল্ড লাইনের সদস্যরা, তখনই তারা স্বীকার করে নেন নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ঘটনা। অবিলম্বে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। পরিবার-পরিজনের বাধা দিতে এলে লাউদোহা ব্লকের যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্ত সাফ জানান সরকারী কাজে বাঁধা দিতে এলে আইনমাফিক ব্যবস্থা তারা নেবেন বলে সাফ জানিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ঐ নাবালিকার সাথে তার বাবা মা কেও নিউটাউনশীপ থানায় নিয়ে যায় প্রশাসন। পরিবার অত্যন্ত গরিব তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলো বলে জানায় ওই নাবালিকা। লাউদোহা ব্লকের যুগ্ম বিডিও প্রসেনজিৎ সামন্ত জানান, 'নাবালিকার বিয়ে চলছে এই খবর পেয়ে তারা আসেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।' সব মিলিয়ে সোমবার সকালে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিয়ে প্রশাসন তার সদর্থক ভূমিকা নিল।